কর্মী-অফিসাররা আবাস যোজনার সমীক্ষায়, তালাবন্ধ একাধিক দপ্তর
বর্তমান | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
মনসুর হাবিবুল্লাহ, দিনহাটা: আবাস যোজনার সার্ভের কাজে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন সরকারি কর্মীরা। দিনহাটায় একাধিক সরকারি দপ্তরে তাই ঝুলছে তালা। সরকারি কাজে দপ্তরে এসে তালাবন্ধ দেখায় ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই। কাজ না হওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে জনমানসে। মঙ্গলবার দিনহাটা-১ ব্লকের শ্রমদপ্তর, ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ বিভাগ, ব্লক প্রাণিসম্পদ অফিস, সিডিপিও অফিস সহ একাধিক দপ্তর তাই ছিল বন্ধ।
দিনহাটা-১ ব্লক যুব কল্যাণ আধিকারিক আবাস যোজনার সার্ভের কাজে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছেন। এই দপ্তরে আর অন্য কোনও কর্মী নেই। সেই কারণে অফিসে তালা লাগানো রয়েছে। সিডিপিও অফিসেও একই সমস্যা। আধিকারিক নিজেই গ্রামগঞ্জে ঘুরছেন। তাই দপ্তর বন্ধ রয়েছে। ব্লকের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক প্রশিক্ষণের কারণে কলকাতায় আছেন। তাঁর দপ্তরের অন্যান্য কর্মীরা সার্ভের কাজে ব্যস্ত। তাই এই অফিসেও ঝুলছে তালা। দিনহাটা-১ ব্লক শ্রম আধিকারিক পদে দীর্ঘদিন ধরে কোনও অফিসার নেই। দিনহাটা-২ ব্লকের আধিকারিক অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। ওই আধিকারিকও সার্ভের কাজে ব্যস্ত। দীর্ঘদিন ধরেই খোলা হচ্ছে না অফিসটি। অফিসের দরজায় ধুলো জমে রয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটা-১ ব্লকে ৫০ হাজারেরও বেশি উপভোক্তা ঘর পাবেন। প্রতিটি ঘরেই সরকারি আধিকারিকরা গিয়ে যাচাই করছেন। ১২৫টি টিম তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি দলে একজন করে সরকারি কর্মচারী আছেন। এখনও পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ঘর সার্ভে করা হয়েছে। কাল, বৃহস্পতিবারের মধ্যে সমস্ত ঘরের সার্ভে সম্পন্ন করতে হবে। সেই সার্ভের কাজের জন্যই ময়দানে রয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। সেকারণেই দপ্তরগুলিতে কর্মীসঙ্কট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ দপ্তরে কর্মীর অভাবে তালা ঝুলছে।
মাতালহাটের বাসিন্দা রমণীকান্ত বর্মন বলেন, শ্রমদপ্তরে কাজের জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই আসছি। প্রতিদিনই তালাবন্ধ অফিস দেখছি। কতদিন পরে আধিকারিকদের দেখা পাব বুঝতে পারছি না।
দিনহাটা-১ এর বিডিও গঙ্গা ছেত্রী বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই আবাস যোজনার ঘরের সার্ভের কাজ চলছে। ১২৫টি দলে সরকারি কর্মচারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভের কাজ সম্পন্ন করছেন। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত ঘরের সার্ভের কাজ সম্পন্ন হবে। কোথাও কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না খোঁজ নিচ্ছি।