আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট উঠে গেল একদিনেই, আজ থেকে জোগান বৃদ্ধি
বর্তমান | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একদিনেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হল আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠন। রাজ্য সরকারের কড়া মনোভাবের চাপেই মঙ্গলবার ব্যবসায়ী সংগঠনের এই সিদ্ধান্ত বদল। হিমঘর থেকে আলু বের না করাই ছিল ওই ধর্মঘট। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি মঙ্গলবার এক বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আজ বুধবার রাত থেকে ফের হিমঘরের আলু বাজারে যাবে। মঙ্গলবার থেকে আলু বের করা বন্ধ করেছিল তারা। তার আগেও হিমঘর থেকে কম পরিমাণে আলু বেরচ্ছিল। এর ফলে খুচরো বাজারে আলুর দাম ইতিমধ্যে আরও বেড়েছে। জ্যোতি আলু কলকাতার অনেক বাজারে ৩৬-৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চন্দ্রমুখীর দাম ৪৫ টাকা। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবার থেকে বাজারে আলুর জোগান বাড়বে। ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর জন্য ফের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে বলে তাঁর দাবি। এই কারণে ধর্মঘট তুলে নেওয়া হয়েছে। নিষোধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়ে সংগঠন রাজ্য সরকারকে চিঠি দেবে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিধানসভা ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্নার কথায় অবশ্য এখনই ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। মন্ত্রী জানান, রাজ্যের মানুষের চাহিদা আগে মেটাতে হবে। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কিছু লোকের মুনাফার জন্য রাজ্যের মানুষের ক্ষতি মানব না। আগে রাজ্যের মানুষের জন্য আলুর জোগান দিতে হবে।
আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের বৈঠকের আগে বেচারাম সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ধর্মঘট না তুললে সরকার আরও কড়া ব্যবস্থা নেবে। সরকারকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ব্যবসায়ীরা রাখেননি বলেও তিনি অভিযোগ করেন। হিমঘর থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে যে আলু বেরচ্ছে তার রসিদ বা চালান দেওয়া হয়নি। এই দামে আলু বেরলে কলকাতার খুচরো বাজারে তার ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। কিন্তু তা হয়নি। মন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছেন, খুচরো বাজারে ৩৩ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে। অন্য রাজ্যের তুলনায় এখানে আলুর দাম তুলনামূলকভাবে কম। রাজ্যের হিমঘরে এখনও ৬ লক্ষ টন আলু মজুত আছে। কিন্তু নতুন আলু আসতে এখনও একমাসের বেশি বাকি। তাই ভিন রাজ্যে আলু পাঠাতে নারাজ সরকার। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীদের দাবি যে মানের আলু অন্য রাজ্যে যায় তার চাহিদা এখানে নেই।