• জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে কতগুলি খুন করেছে রাহুল!  জানতে মরিয়া গুজরাত পুলিস
    বর্তমান | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কাটিহার এক্সপ্রেসে তবলা শিক্ষক খুনে ধৃত রাহুল জাঠের মোট খুনের পরিসংখ্যান নিয়ে তদন্তের জাল বিস্তৃত হচ্ছে। চলতি বছরের জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে সে কতগুলি খুন করেছে, সেটা বের করাই এখন চ্যালেঞ্জ গুজরাত পুলিসের কাছে। জেরায় এই প্রশ্ন সে এড়িয়ে গেলেও তদন্তকারীরা নিশ্চিত, আরও কয়েকটি খুনের ঘটনা সে ঘটিয়েছে। এই ক’মাসে তার গতিবিধি কোথায় কোথায় ছিল, জানতে গুজরাত ছাড়া মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন রেল স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে সেখানে তার যাতায়াত ছিল কি না, জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।


    রাহুলকে জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, মহারাষ্ট্রের আরও এক যুবককে সে খুন করেছিল। এটি ছিল তার ষষ্ঠ খুনের ঘটনা। গুজরাতের এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের পর সে প্রতাপনগর স্টেশনে যায়। সেখান থেকে ভদোদরাগামী ট্রেনে ওঠে। ওই ট্রেনেই মুম্বইয়ের এক যুবক যাত্রী ছিল। বিশেষভাবে সক্ষম ওই যাত্রী অভিযুক্তের পাশেই  বসেছিল। তার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতায় রাহুল। দু’জনে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করে। এরপর ভদোদরা না গিয়ে চারটি স্টেশন পর নেমে যায় ওই যুবককে নিয়ে। সেখানে তাঁর সঙ্গে কোনও গোলমাল হয়। স্টেশনের কাছে হাইওয়ের উপর রাহুল সঙ্গে থাকা চেন ওই যুবকের গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তাঁর মোবাইল ও টাকা নিয়ে পরের ট্রেন ধরে পালায় ভদোদরা। ওই যুবকের বাবা ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে অভিযোগ করেন মহারাষ্ট্রে। গুজরাতের দাভাই থানায় অভিযোগ জানানো হয়। ওই যুবকের ছবি দেখানোর পর তাঁকে চিহ্নিত করে রাহুল। আর কোথায় সে খুন করেছে, এই প্রশ্নের উত্তরে রাহুল তদন্তকারীদের জানিয়েছে, আরও কিছু ঘটনা সে ঘটিয়েছে। সবক’টি হয়েছে মহারাষ্ট্র থেকে গুজরাতগামী ট্রেনের মধ্যে। সেই কারণে এই রুটে থাকা সমস্ত জিআরপি থেকে নথি নিয়ে দেখা হচ্ছে, সেখানে ট্রেনের মধ্যে বা রেল স্টেশনে কোনও দেহ মিলেছিল কি না। তবে তার মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন বলছে, সে রাজস্থানে গিয়েছে জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে। তাই সেখানে সে কোনও কিছু ঘটিয়েছে কি না, সেটা জানার চেষ্টা চলছে।   
  • Link to this news (বর্তমান)