নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি বছরে চায়ের উৎপাদন মার খেল দেশে। সেই তালিকায় যেমন অসমের চা আছে, তেমনই আছে দার্জিলিং এবং ডুয়ার্সের চা-ও। অবশ্য উৎপাদন কমলেও কেজি প্রতি দামের সুবিধা পেয়েছে চা সংস্থাগুলি।
চা পর্ষদের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর ভারতের চায়ের কেজি প্রতি গড় দাম ছিল ১৯০.০৮ টাকা। এই বছরে তা বেড়ে হয়েছে ২৩০.৪৬ টাকা। বৃদ্ধির হার ২১ শতাংশের বেশি। নিলাম কেন্দ্রগুলিতে চায়ের যে দাম পাওয়া গিয়েছে, তার উপর ভিত্তি করেই এই হিসেব কষা হয়েছে। এই তালিকায় আছে এরাজ্যের চা-ও। শুধু দার্জিলিং চায়ের দামে গড় হিসেব কষলে, চলতি বছরে দাম মিলেছে কেজি প্রতি ৪০২.০১ টাকা। গত বছরের তুলনায় দাম বৃদ্ধির হার প্রায় ১৮ শতাংশ। দক্ষিণ ভারতের চা বাগানগুলিতে দাম বেড়েছে ১১.০৫ শতাংশ।
চায়ের দাম বাড়লেও, দেশের প্রায় সর্বত্রই চায়ের উৎপাদন মার খেয়েছে বলে দাবি করেছে চা পর্ষদ। তাদের হিসেব, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত দার্জিলিংয়ে চা উৎপাদিত হয়েছে প্রায় ৫২ লক্ষ ৭০ হাজার কেজি। গত বছর ওই একই সময়ে আরও ২ লক্ষ ৮০ হাজার কেজি বেশি চা উৎপাদিত হয়েছিল। ডুয়ার্সে চা উৎপাদন মার খেয়েছে ৯.১৯ শতাংশ। তরাই অঞ্চলে সেই হার ১২.৮২ শতাংশ। সর্বভারতীয় স্তরে হিসেব কষলে ওই ১০ মাসে উৎপাদন মার খেয়েছে ৫.৬৩ শতাংশ। গত অক্টোবর পর্যন্ত এ বছরে দেশে চা উৎপাদিত হয়েছে প্রায় ১১৮ কোটি কেজি। চা উৎপাদন সংস্থাগুলির দাবি, খারাপ আবহাওয়া থাকার কারণে এবার উৎপাদন মার খেয়েছে অনেকটাই। এরাজ্যের পাশাপাশি অসমেও উৎপাদন কমার অন্যতম কারণ আবহাওয়া। তাই চায়ের নিলামে দাম বেশি পাওয়া গেলেও উৎপাদন কম হওয়ায়, লাভের অঙ্কে বড় প্রভাব পড়েনি বলে দাবি করেছে চা উৎপাদক সংস্থাগুলি।