• ভুয়ো মেসেজ ও কল বন্ধে উদ্যোগী হতেই  কমেছে গ্রাহকের অভিযোগ, দাবি ট্রাইয়ের
    বর্তমান | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভুয়ো মেসেজ এবং ফোন কলের মাধ্যমে জালিয়াতি রুখতে উদ্যোগী হয়েছিল টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ট্রা‌ই)। মূলত তিনটি বিষয়ের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছিল তারা। প্রথমত, এসএমএসের মাধ্যমে ইউআরএল, এপিকে এবং ওটিটি লিঙ্ক পাঠানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা, দ্বিতীয়ত, টেলিমার্কেটিং সংস্থাগুলির ফোন নম্বরগুলিকে ১৪০ সিরিজের নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা এবং তৃতীয়ত, কেন্দ্রীয় দপ্তরগুলির তরফে নিযুক্ত গোটা টেলিমার্কেটিং ব্যবস্থা বা সংস্থাগুলি সম্পর্কে যথাযথ তথ্য প্রকাশ করা। এই কাজের দায়িত্ব টেলিকম সংস্থাগুলির উপর ছাড়ে তারা। নির্দেশ দেওয়া হয়, যেসব সংস্থা স্বচ্ছতা মেনে ট্রাইয়ের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করবে, টেলিকম সংস্থাগুলির তরফে তাদের সাদা তালিকাভুক্ত করতে হবে। কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে বাকিদের। এর ফলে বিভিন্ন সংস্থার তরফে ভুয়ো ফোন কল বা মেসেজ পাঠানোর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আসবে। সাধারণ মানুষও প্রতারণার হাত থেকে সুরাহা পাবেন। 


    ট্রাই দাবি করেছে, এই পদক্ষেপগুলির মধ্যেমে ভুয়ো কল বা এসএমএস সংক্রান্ত অভিযোগ অনেকটাই কমিয়ে এনেছেন গ্রাহকরা। তাদের বক্তব্য, টেলিকম সংস্থাগুলি তাদের কাছে যে তথ্য তুলে ধরেছে, তাতে চলতি বছরের আগস্ট মাসে অভিযোগের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৮৯ হাজার। সেপ্টেম্বরে সেটা কমে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৬৩ হাজারে। অক্টোবরে তা আরও কমে ১ লক্ষ ৫১ হাজারে নেমেছে। অর্থাৎ দু’মাসে প্রায় ২০ শতাংশ অভিযোগ কমানো গিয়েছে বলে দাবি করেছে ট্রাই।  


    এর আগে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছিল, প্রায় ৮০০টি সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে প্রায় ১৮ লক্ষ মোবাইল ফোন নম্বর। ওইগুলি থেকে নানারকমের সন্দেহজনক ফোন কল পেত সাধারণ মানুষ। ট্রাইয়ের দাবি, ভুয়ো কল ও মেসেজ রুখতে তারা ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। তাতে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখনও পর্যন্ত ১৩ হাজার সংস্থা মোবাইল পরিষেবা কোম্পানিতে তাদের নাম নথিভুক্ত করেছে। এরপর আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক সংস্থা এই কাজে এগিয়ে আসবে বলে মনে করছে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া।  
  • Link to this news (বর্তমান)