‘প্রিন্স অব ক্যামাক স্ট্রিটের’ ঘনিষ্ঠ বলেই পুলিশের রদবদল? বিস্ফোরক দাবি সুকান্তের
আজ তক | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজ্য পুলিশের শীর্ষস্তরে বড়সড় রদবদল। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা প্রধান রাজাশেখরনকে। তবে এই পরিবর্তনের পেছনে রাজনৈতিক কারসাজির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতারা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই রদবদলকে রাজ্যের শাসক দলের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার লড়াইয়ের প্রতিফলন বলে দাবি করেছেন।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি নবান্নের বৈঠকে রাজ্য পুলিশের একটি অংশ ও সিআইডি-র ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সিআইডি-তে শীঘ্রই বদল আনতে। সেই নির্দেশের পরেই এদিন চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডেলে একটি বিস্ফোরক পোস্ট করে দাবি করেন, এই বদলি শুধুই প্রশাসনিক নয়, এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক অভিসন্ধি। তিনি লেখেন, "তৃণমূলের অন্দরেই ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু পরিবর্তন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এখন প্রশাসন ও দল দুটোই একা হাতে পরিচালনা করতে চাইছেন।"
তিনি আরও বলেন, "প্রিন্স অব ক্যামাক স্ট্রিটের ঘনিষ্ঠতা এতদিন পুলিশের ওপর প্রভাব বিস্তার করে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর দমিয়ে রেখেছিল। এবার মুখ্যমন্ত্রী সেই আধিকারিককে সরিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে তিনি পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে চান।"
সুকান্ত মজুমদারের এই বক্তব্যে তৃণমূল শিবিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সরাসরি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, "এরপরও বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই কতটা স্পষ্ট হবে?"
তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনা ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে দলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণের পরিবর্তন কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা।