সিআইডির খোলনলচে বদল করবেন বলে দিন কয়েক আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সেই লক্ষ্যের পথে প্রথম পদক্ষেপ করল নবান্ন। রাজ্য পুলিশের প্রধানের পদ থেকে সরানো হল আর রাজশেখরনকে। তাঁকে পাঠানো হল এডিজি আইজিপি ট্রেনিং পদে। যা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ। আরজি কর-কাণ্ডের সময় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধানের পদ থেকে মুরলীধর শর্মাকে সরিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার বদল হল রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা প্রধানও।
রাজশেখরনের পরিবর্তে কাকে এডিজি সিআইডি তথা রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান পদে বসানো হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি নবান্নের নির্দেশিকায়। শোনা যাচ্ছে, শীঘ্রই সেই নাম ঘোষণা করতে পারে সরকার। বলে রাখি, নবান্নে বৈঠক চলাকালীন রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিআইডিতে রদবদল সেদিনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
রাজশেখরন ছাড়া আরও কয়েকটি বদলি হয়েছে পুলিশে। এডিজি ট্রেনিং পদে ছিলেন দময়ন্তী সেন। তাঁকে পাঠানো হয়েছে এডিজি (পলিসি) পদে। এডিজি (পলিসি) আর শিবকুমার পেয়েছেন এডিজি (ইবি)-র দায়িত্ব। এডিজি (ইবি) পদে থাকা আইপিএস কর্তা রাজীব মিশ্রকে দেওয়া হয়েছে এডিজি মডার্নাইজ়েশনের দায়িত্ব।
নবান্ন সূত্রের খবর, বুধবার যে রদবদল হয়েছে তা আগামীর সংকেত। খুব শিগগিরই আরও রদবদল অপেক্ষা করে রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের সচিবও বদলাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নভেম্বরে রাজ্যের ডিজির উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,'আমি সিআইডির খোলনলচে বদলে দেব। পুরোটাই। আর যাঁর যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, অভিযোগ পেলে ক্রস চেক করো। কেউ কেউ মিথ্যা কথা বলেও অভিযোগ করে। অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে কড়া পদক্ষেপ করো। কেউ তাতে বাধা দেবে না। আর কেউ বাধা দিলে আমি শুনবও না'।