খুচরো ব্যবসায়ীদের দাবি, আলু তাঁদের এখনও বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে, তাই দামও চড়া। আলু সরবরাহ বন্ধ থাকবে ঘোষণা হতেই আলুর দাম কিলো প্রতি দু টাকা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। সেই দাম এখনই কমবে না বলেই মনে করছেন খুচরো বিক্রেতারা। আর দাম বেশি থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। শীতকালীন সব্জির দাম এখনও নাগালে আসেনি। তার মধ্যে আলুর দাম বেশি থাকায় কাঁচা আনাজ কিনতে বাজেটে টান পড়ছে।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের কথা ভেবে তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আলু সরবরাহ স্বাভাবিক করেছেন। আলুর হিমঘর-আড়তগুলি থেকে বস্তা লোড করে আজ রাতেই বাজারে পৌঁছবে আলু। পাইকারি আলু ২৬ টাকা কিলো দরে সরবরাহ হবে। সেই আলু ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি হলে ঠিক। ৩৪-৩৫ টাকা নিলে তা বেশি। খচরো বিক্রেতাদের দাবি, প্রতি বস্তায় চার পাঁচ কিলো আলু বাদ দিতে হয়। বাছাই করা আলুর দাম তাই বেশি নিতেই হয়।
প্রসঙ্গত, গতকাল বিকেলই রাজ্য সরকারের চাপে পিছু হটেছিল 'প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি'। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বেচারহাটে আলু ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বুধবার থেকে কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হল। অর্থাৎ, আজ, বুধবার হিমঘর থেকে আলু বের হবে ও তা আগের মতোই বাজারে সরবরাহ করা হবে। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যের হিমঘরগুলিতে আলু আছে প্রায় ৯ শতাংশ। যে পরিমাণ আলু মজুত আছে, তাতে কোনও ভাবেই আলুর জোগানে টান পড়বে না!
মঙ্গলবারের পর বুধবারও বাজারে আলুর দাম কার্যত একই জায়গায় বর্ধমানের বাজারেও। পুলিস লাইন বাজার থেকে স্টেশন বাজার কিংবা নীলপুর বাজার-- সব জায়গাতেই খোলা বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছিল ৩৬ টাকা কিলো দরে। চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি ৪০ টাকা কিলো দরে। বাজারের খুচরো বিক্রেতারা জানিয়েছিলেন, সোমবার পর্যন্ত তাঁরা আলু বিক্রি করেছেন ৩২ টাকাতেই। কিন্তু আলুর জোগান কম। বস্তায় ২০০ টাকা বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে। তাই দাম বেড়েছে গিয়েছে।