আলু হিমঘরে থাকার পাশাপাশি জেলার টাস্ক ফোর্সও কার্যত হিমঘরে চলে গিয়েছে। বাজারে আলুর দাম বাড়লেও টাস্ক ফোর্সের দেখা মেলেনি গতকাল মঙ্গলবার কিংবা আজ বুধবারও। সোমবার পর্যন্ত হিমঘর থেকে আলু সরবরাহ হয়েছে একেবারে স্বাভাবিক ভাবেই। মঙ্গলবার থেকে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি কর্মবিরতির ডাক দেয়। ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর ক্ষেত্রে কোন বিধিনিষেধ জারি করা যাবে না। বর্ডারে আলু বোঝাই লরি আটকে দেওয়া হচ্ছে। বর্ডার খুলে দিতে হবে এই দাবিতে। সরকার তা না মানায় শুরু হয় হিমঘর মালিক ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি। কিন্তু দেখা গেল মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাজারে আলুর দাম ঊর্দ্ধমুখী। ৩৫ টাকা থেকে ৩৬ টাকা কিলো দরে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে। একলাফে কিলো প্রতি জ্যোতি আলুর দাম বাড়ল ৩ থেকে ৪ টাকা। খুচরো ব্যবসায়ীরা জানান, আড়তে আলুর জোগান কম আছে। তাহলে তো বুধবার আলুর জোগান আরো কমে যাবার কথা। কিন্তু এদিনও খুচরো বাজারে আলুর দাম বাড়েনি। কারণ মঙ্গলবারই প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি মিটিংয়ে ঘোষণা করে বুধবার থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। তার জন্যই দাম বাড়ল না। তাহলে একটা জিনিস পরিষ্কার, একশ্রেণির আড়তদার বা মিডল ম্যান বাজারে কৃত্রিম অভাব তৈরি করে বেশি মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করছিল।
এখানেই প্রশ্ন, কেন জেলার টাস্ক ফোর্স সক্রিয় নয়। আড়তে গোডাউনে প্রচুর আলু মজুত রেখে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম অভাব তৈরি করছে। সেখানে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অথচ প্রশাসন উদাসীন বলে উঠছে অভিযোগ।