• মমতার বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বিধানসভায় বিল আনা হচ্ছে বুধবার
    আনন্দবাজার | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নতুন আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে একটি বেসরকারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। বুধবার মধ্যাহ্ন বিরতিতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে বৈঠকে বসেন বিধানসভার কার্যবিবরণী কমিটির সদস্যেরা। সেখানেই ঠিক হয় বিধানসভার অধিবেশন এক দিনের জন্য বাড়ানো হবে। সেই বৈঠকেই ঠিক হয় রাজ্যে আরও তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিল পেশ করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে আগামী মঙ্গল ও বুধবার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে ‘দি ভবানীপুর গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বিল ২০২৪’ নিয়ে। কারণ এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ভৌগোলিক অবস্থান মমতার বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে।

    কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ‘ভবানীপুর গুজরাতি এডুকেশন সোসাইটি’ নামে একটি কলেজ রয়েছে। ভবানীপুর এডুকেশন বলেই লোকমুখে পরিচিত এই কলেজটি। সেই কলেজকেই এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দিতে চলেছে রাজ্য। আগামী বুধবার অধিবেশনের দ্বিতীয় অর্ধে নতুন এই বিলটি বিধানসভায় পেশ করবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই বিলটি পাশ করার জন্য এক ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। যে হেতু স্পিকারের ডাকা কার্যবিবরণী কমিটির বৈঠকে যোগদান করে না বিজেপি পরিষদীয় দল, তাই বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই অধিবেশন বাড়ানোর কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিরোধী দল বিজেপি বিধায়কদের। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃতি পাওয়ার দিন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বিধানসভার আলোচনায় অংশ নেবেন কি না সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ তৃণমূল পরিষদীয় দলের নেতারা।

    ভবানীপুর গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বিল ছাড়াও আরো দু’টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির বিষয়েও বিল আনা হচ্ছে বিধানসভায়। দু’টি শিক্ষা বিল আনা হবে মঙ্গলবার। ‘দি রামকৃষ্ণ পরমহংস ইউনিভার্সিটি বিল ২০২৪’ এবং ‘দি রবীন্দ্রনাথ টেগোর ইউনিভার্সিটি বিল ২০২৪’ বিলের আলোচনার জন্য সময় বরাদ্দ করা হয়েছে দেড় ঘণ্টা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ধীরে ধীরে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে দলের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন দফতরে নিজের সক্রিয়তা বাড়াচ্ছেন। মনে করা হচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনে যাওয়ার আগে বিধায়ক মমতার ঝুলিতে ভবানীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিও ইতিবাচক হতে পারে।

    বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন, ভবানীপুর বিধানসভা এলাকার অবাঙালি হিন্দুদের ভোট ভবানীপুরে অন্যতম ফ্যাক্টর। যে কারণে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভবানীপুর বিধানসভা থেকে ১৭৬ ভোটে পিছিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ভবানীপুর বিধানসভার পাঁচটি ওয়ার্ডে ভাল ব্যবধানে এগিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী। ২০২১ সালে তৃণমূলের বিপুল জয়েও দলীয় প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বেশ কিছু ওয়ার্ডে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)