পরিবারের অভিযোগ তারপর থেকে একবার মাত্র ডাক্তার দেখে গিয়েছেন রোগীকে। বুধবার বিকেলে নার্স এসে রোগীকে একটি ইনজেকশন দেয় এবং সেখান থেকেই তার শরীরে শুরু হয় এলার্জির সমস্যা। পরিবারের অভিযোগ ইনজেকশন দেওয়ার পর থেকেই গা হাত পা ঠাণ্ডা হতে থাকে রোগীর।
কিন্তু বারবার ডাকা সত্ত্বেও নার্স কিংবা ডাক্তারের দেখা মেলেনি কারোরই। রোগীর পরিবার যখন রেফার করার কথা বলেন তখনও রাতে ডাক্তারবাবু এসে দেখার পরেও কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এমনটাই জানান মৃতার দাদা। পাশের বেডে ভর্তি থাকা এক রোগী বলেন, 'দুইজন পেসেন্টকে ইনজেকশন দেওয়ার পরই তাদের শরীরে রিয়াকশন শুরু হয় একজনের পরিবার তাকে নার্সদের কাছে নিয়ে গেলে তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়, কিন্তু এই পেশেন্টির ক্ষেত্রে সেই ব্যবস্থা নেওয়া না হওয়ায় পরে পেশেন্টটি মারা যায়।'
ব্যবহৃত ইনজেকশনের এম্পিউল গুলিও এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পরিবারের। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার ডাক্তার সুশান্ত বরণ দত্ত বলেন, 'একটা অভিযোগ এসেছে যে সমস্ত স্টাফদের নাম আছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবো এবং যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' এই ঘটনায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার ও কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ জানায় রোগীর পরিবার।