স্থানীয় সূত্রে খবর, বারুইপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন বাজার সংলগ্ন এলাকায় ১১ মাস ধরে চলছিল ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রটি। অভিযোগ, সেখানে চিকিত্সাধীন এক নাবালককে গামছা দিয়ে জানলা বেঁধে রাখা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, পোশাক খুলে বেধড়ক মারধরও করা হয় তাকে! সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানা গিয়েছে, ভাইরালটি ভিডিয়োটি পৌঁছে যায় পুলিসের কাছেও। এরপর ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রটি খুঁজে বের করে পুলিসই। ওই নাবালককে উদ্ধার করে অন্যত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে গ্রেফতার করা হয় নেশামুক্তি কেন্দ্রে মালিক পার্থ চক্রবর্তী। যে বাড়িতে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্র চলছিল, সেই বাড়িটির মালিক শিবু প্রসাদ সাহা নামে এক ব্যক্তি। থানায় যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। শিবুপ্রসাদের দাবি, '১১ মাস আগে পার্থ চক্রবর্তী নামে এক জনকে বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলাম। তাঁরা নেশামুক্তি কেন্দ্র চালাচ্ছিলেন। এখন পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারলাম, এক নাবালককে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ বলার পর ওই কেন্দ্রটি বন্ধ করে দিয়েছি'।
এর আগে, বারুইপুরেরই একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে চিকিত্সাধীন যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। কবে? শনিবার। পিটিয়ে খুনের অভিযোগ করেছে পরিবারের লোকেরা। তদন্ত করছে পুলিস। তারমধ্যেই ফের একই ঘটনা।