মন্দিরসংস্কার নিয়ে বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার জানিয়েছেন, এই মন্দির বহু প্রাচীন। বিভিন্ন জেলা ও ভিন রাজ্য থেকেও দর্শনার্থীরা এই মন্দির দর্শন করতে আসেন। তবে কালের নিয়মে প্রাচীন এই মন্দিরের অবস্থা অনেকটাই খারাপ হয়ে পড়েছে, সংস্কার প্রয়োজন। সেকাজেই হাত দেওয়া হয়েছে। পরেশ সরকার আরও জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে মন্দির-চত্বর দখল হয়ে ছিল। কিছুদিন আগে অভিযান করে অবৈধ দোকান ও অন্যান্য নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে এলাকার দোকানদের জন্য মন্দিররে পিছনে ঘরও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। দখল সরিয়ে ফেলায় মন্দির চত্বরের সামনে বিরাট প্রশস্ত পরিসর খুলে গিয়েছে। মন্দিরের সামনের রাস্তাটিও সারানো হয়েছে। ভবিষ্যতে ওখানে পার্ক ও বিশ্রামের জায়গা তৈরি করা হবে।
মন্দির চত্বর পরিষ্কার করার ফলে ঐতিহাসিক কামান চত্বর আবার দৃশ্যমান হয়েছে। ক্যানেলপাড়ের দিকটি পরিস্কার ও দখলমুক্ত করা হয়েছে। গাড়িঘোড়া যাতে সোজা মন্দিরে আসতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মন্দিরের আশেপাশে বিদ্যুতের পোল সরিয়ে মাটির নিচে লাইন করা হবে। এজন্য ২৮ লক্ষ টাকা এই সপ্তাহেই দফতরকে দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, মন্দিরের ভিতরের পরিসরও সংস্কার করা হবে। মন্দিরের সামনের দিকের প্রাচীরটি নতুন করে সারানো হবে। সেখানে পুরনো যে ভাস্কর্য ছিল, তা আবার ফুটিয়ে তোলা হবে। বিখ্যাত সিংহদুটিকে ফিরিয়ে আনা হবে। শিল্পী পূর্ণেন্দু দের তত্ত্বাবধানে এই কাজ করা হবে। সংস্কারকাজ করার সময় প্রাচীন শিল্পশৈলী বজায় রাখা হবে। অতিথিশালা ও ভিতরের মন্দিরগুলিও সাজানো হবে।
এই ভাবে নতুন রূপ পেলে ঐতিহাসিক এই মন্দিরে পর্যটক সমাগম বাড়বে বলেই আশা পুরসভার। একই সঙ্গে বর্ধমানকে পর্যটন-মানচিত্র তুলে আনার কাজও এগিয়ে যাবে।