রামসাইয়ের সরকারি রিসর্টগুলিতে বিদ্যুতের কোনও ব্যবস্থা নেই। থমথমে অন্ধকারের মাঝে, ছোট ছোট হ্যারিকেনের মৃদু আলোয় আলোকিত হতে থাকে সব কিছু। হ্যারিকেন অবশ্য কেরোসিনের নয়, সোলার। হালকা আলোর মধ্যে, সূর্যরশ্মি যখন অদৃশ্য, তখন প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে এখানে অভূতপূর্ব এক রাত্রিযাপনের অভিজ্ঞতা লাভ করেন পর্যটকরা।
পর্যটকদের ডুয়ার্স ট্রিপ স্পেশাল করে তুলতে পর্যটন ব্যবসায়ী অলক চক্রবর্তীর উদ্যোগে জঙ্গলে গোলাপ হাতে স্বাগত জানানো হচ্ছে প্রত্যেক আগন্তুককে। পাহাড়, অরণ্য, মৃদু বাতাস আর গোলাপের সুগন্ধ। সব মিলিয়ে একটা মাদকতা তৈরি হয়ে ওঠে পর্যটকদের মনে।
বেশ কিছুদিন আগে আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়া হলং বাংলো পুড়ে যাওয়ার পর প্রশাসন সচেতন হয়ে ওঠে যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা আর না ঘটে। সেই থেকেই এমন অভিনব নিরাপদ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাতে পর্যটকেরা নিরাপদে প্রকৃতির আনন্দ নিতে পারেন, পাশাপাশি তাঁদের রাত্রিযাপন হয় একদম আলাদা ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে। বর্ষশেষে শীতের মরশুমে ভ্রমণপিপাসু মানুষজনেদের ঢেলে সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে বন দফতর!
এই বিষয় নিয়ে বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা তেমন ভাবে না থাকলেও পর্যটকদের জন্য থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে জঙ্গলের মাঝে। শুধু তাই নয়, তাঁদের কোনো অসুবিধার সম্মুখীন যাতে হতে না হয়, সেটাও দেখা হচ্ছে।
এডিএফও রাজীব দে জানান, এখন বিপুল পরিমাণে পর্যটক আসছেন। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের রামসাইয়ের কালীপুরে এই কটেজগুলিতে লেগেছে শীতের ছুটির হাওয়া।