পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চিন থেকে এই রসুন দেশের সীমান্ত পেরিয়ে চোরা পথে ভারতের বাজারে আসে। কম দামে এই রসুন কিনে বেশি দামে বিক্রি করেন বিক্রেতারা। চিনা রসুনের কোয়া মোটা হয়। চাষের সময় যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। ধৃত ম্যানেজারের অবশ্য দাবি, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তাঁর মালিক জানতে পারেন। সাঁকরাইল থানার পুলিশ মালিকের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে।
২০১৪ সালে চিনা রসুন আমদানি করা বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। পরীক্ষায় চিনা রসুনে ছত্রাকের সংক্রমণ ধরা পড়ার পরেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, চিন থেকে ভারতে যে রসুন পাঠানো হত, সেই রসুনে থাকত মিথাইল ব্রোমাইড। রসুনকে ফাঙ্গাসের হাত থেকে বাঁচাতে কীটনাশক হিসাবে চিন ওই বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, নিয়মিত মিথাইল ব্রোমাইড পেটে গেলে লিভার-কিডনি বিকল হতে পারে। স্নায়ুর সমস্যাও হতে পারে। নষ্ট হতে পারে স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি।