সতীর্থ শঙ্করের পাশে দাঁড়িয়ে অরূপের আক্রমণের জবাব দেন ময়নার বিজেপি বিধায়ক। জলপাইগুড়ির বিশ্ব বাংলা স্টেডিয়াম প্রসঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গন তৈরি করে সাইয়ের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর। সেখানে সাতটি ক্রীড়া বিভাগের প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। আজ সেখানে গরু চরছে। এ বিষয়ে চার বার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীকে জানালেও আজ অবধি কিছু করা হয়নি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সর্বশেষ ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ও ২৭ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা হয়নি।’’ রাজ্য সরকার ১১০ কোটি টাকা দিয়ে এই স্টেডিয়াম করে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন সংস্থা 'স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া' (সাই)র হাতে তুলে দিয়েছিল।
মন্ত্রী অরূপের দাবি, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে, অবহেলার ফলে সেখানে গরু চরছে। বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ না-তুলে উত্তরবঙ্গের মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রের কাছে বলুন। আসুন-না, উত্তরবঙ্গে আপনাদের বিধানসভা এলাকার ক্রীড়াবিদদের স্বার্থে কথা বলি।’’ ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুরুলিয়ায় ছ’টি, উত্তর ২৪ পরগনায় একটি হকি স্টেডিয়াম, সল্টলেক স্টেডিয়াম-সহ ১৮টি নতুন স্টেডিয়াম ও ২৭টি সংস্কার করে মোট ৫৮টি স্টেডিয়াম গড়ে তুলেছে রাজ্য সরকার। বারাসাতে আন্তজার্তিক মানের স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
এ ছাড়াও নানাবিধ খেলার জন্য ৪২৪টি মাঠ তৈরি করা হয়েছে ক্রীড়া দফতরের তরফে। মন্ত্রীর আক্রমণের জবাবে বিজেপি বিধায়ক অশোক ডিন্ডা বলেছেন , ‘‘মন্ত্রী দাবি করেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকার নাকি স্টেডিয়াম নির্মাণে কোনও টাকা দেয়নি। কিন্তু আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলেছিলাম এই বিষয়ে। তিনি বলেছিলেন, এই প্রকল্পের জন্য ২০০ কোটি টাকার প্রস্তাব নিয়ে রাজ্য কোনও জবাব দেয়নি। সঠিক সময়ে সব তথ্য প্রকাশ্যে আনব।"