নিয়োগ মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন শান্তনু। ইডির মামলায় তিনি জেল হেফাজতে ছিলেন। গত ২৫ নভেম্বর তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। আবার, ওই দিনই বেহালা থেকে গ্রেফতার করা হয় সন্তুকে। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই দু’জনেরই কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা।
নিয়োগ মামলার তদন্তে নেমে একটি অডিয়ো হাতে পেয়েছে সিবিআই। তার সঙ্গে সন্তু এবং শান্তনুর কণ্ঠস্বর মিলিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের অনুমান, ওই অডিয়োতে দু’জনের কণ্ঠ শোনা গিয়েছে। তা প্রমাণিত হলে নিয়োগ মামলার তদন্ত নতুন মোড় নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অডিয়োটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সিবিআই।
কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য সন্তু এবং শান্তনুকে এক দিনের হেফাজতে চেয়েছিল সিবিআই। আদালত জানিয়েছিল, জেলে গিয়ে অথবা কোর্টে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এই কাজ করা যায়। ফলে তাঁদের নতুন করে আর হেফাজতে পাননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
নিয়োগ মামলায় দীর্ঘ দিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন সন্তু। গত দেড় বছরে বার বার তাঁকে তলব করা হয়েছে। তিনি সিবিআই দফতরে হাজিরাও দিয়েছেন। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে সিবিআই তাঁকে ‘প্রাথমিকে দুর্নীতি চক্রের অন্যতম মাথা’ বলে বর্ণনা করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থার অভিযোগ, তিনি জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা না করে তদন্তকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করেছেন। আপাতত সন্তু এবং শান্তনু রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে।