দু’টি মামলাই প্রায় চার বছরের পুরনো। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ওই দুটি অভিযোগ জমা পড়েছিল পুলিশের কাছে। তবে ওই অভিযোগগুলি অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা। কবীরের অভিযোগ, কল্যাণ তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা। কবীরশঙ্করের দাবি, ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর তাঁর উপর হামলা হয়েছিল। এমনকি তাঁর নিরাপত্তাকর্মীদের উপরেও হামলা হয়েছিল। সেখান থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান। কিন্তু সেই রাতে প্রায় দু’শো দুষ্কৃতী তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হন। দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত ছিলেন বলে দাবি বিজেপি নেতার। পুলিশের মদতেই ওই হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ তাঁর।
বিজেপি নেতার দাবি, তিনি যখন থানায় অভিযোগ জানাতে যান, তখন পুলিশকর্মীরাও তাঁদের নিরুপায় অবস্থার কথা জানিয়েছিলেন তাঁকে। কবীরশঙ্করের অভিযোগ, তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের উপর চাপ দেওয়া হয়েছিল। মামলাটি অনেক দিন ধরেই সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন ছিল। ২০২০ সালে বিজেপি নেতার উপর দায়ের হওয়া ওই এফআইআরগুলির উপর ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেই স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। বুধবার অভিযোগগুলির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ।