সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: পাকা ধান কাটার পরই মাঠে নাড়া পোড়াচ্ছেন চাষিদের একাংশ। সেইসব চাষিদের সচেতন করতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন ও কৃষিদপ্তর। পেশায় দিনমজুর দুর্গাপুরের তপন বাউরিও সাইকেলে গ্রামেগঞ্জে ঘুরে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন। ‘খড় পোড়ানো ক্ষতিকারক, খড় পোড়ানো বন্ধ রাখুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে সচেতন করছেন তিনি। নাড়া পোড়ালে জমি ও প্রকৃতির কী ক্ষতি হয় তা মাঠে গিয়ে চাষিদের বোঝাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি ডাইনি প্রথার মতো কুসংস্কার ও পরিযায়ী পাখি রক্ষা করার বার্তা দিচ্ছেন তিনি। তাঁর দাবি, গত আট বছর ধরে সচেতনতার বার্তা দিয়ে সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর মহকুমার কাঁকসা ও দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ধান চাষ হয়। শীতের শুরুতেই খরিফ চাষের ধান পেকে গিয়েছে মাঠে। চাষিরা জমি থেকে ধান কেটে নেওয়ার পর ধান গাছের অবশিষ্ট অংশ বা নাড়ায় আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেন। ধোঁয়ায় ভরে ওঠে এলাকা। যার ফলে বায়ু দূষণ তো হয়ই। পাশাপাশি জমির মাটিতে থাকা কেঁচো ও উপকারী জীবাণু, কীটপতঙ্গ ধ্বংস হয়ে যায়। একাধিক ক্ষুদ্র উদ্ভিদও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এর ফলে। মাটি পুড়ে শক্ত হয়ে যাওয়ায় উর্বরতা নষ্ট হয়। ফলে ফের চাষ করলে ফসল কম পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রশাসন নাড়া পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গ্রামবাসীদের সচেতনও করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও অনেকে নাড়ায় আগুন ধরাচ্ছেন।