• ঝাড়গ্রামে ১ মাসে ২৪ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনল খাদ্যদপ্তর
    বর্তমান | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: এক মাসে মধ্যে প্রায় ২৪ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনল জেলা খাদ্যদপ্তর। প্রায় আট হাজার চাষির কাছ থেকে এই ধান কেনা হয়েছে। সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পেরে খুশি ঝাড়গ্রামের চাষিরাও। গত নভেম্বর মাসেই ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্যদপ্তর। ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় মোট ৭৯৩০জন চাষির কাছ থেকে ২৩ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। গোটা জেলায় ধান কেনার জন্য ৫১টি স্বসহায়ক দল ও ১০টি সমবায় সমিতি ও ৪টি এফপিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ামক সুজয় দাস বলেন, ধান কেনায় গোটা জেলা থেকে খুব ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে। যদি ধান বিক্রি করতে চাষিদের কোথাও কোনও অসুবিধা হয়, প্রকৃত লোকেশন জানালে আমরা তাড়াতাড়ি যথাযথ ব্যবস্থা নেব।পাকা ধান খামারে তোলার সঙ্গে সঙ্গেই  সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পেরে খুশি ধান চাষিরাও। এবারে ঝাড়গ্রাম জেলায় ২ লক্ষ ৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে প্রশাসন। গত বছর থেকেই ভাগ চাষি বা অন্যের জমিতে চাষ করেন তাঁদের ধানও কেনার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। এক্ষেত্রে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে গিয়ে জমির মালিকের কাগজপত্র ও চাষির আধার, ভোটার ও  ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নথিভুক্ত করে রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়। সংশ্লিষ্ট ব্লক আধিকারিকদের একটি প্রতিনিধি দল সরজমিনে ভাগচাষিদের বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেন। তার পরেই সরকারি পোর্টালে এই চাষিরা ধান বিক্রি করতে পারেন।প্রশাসনের এই উদ্যোগের ফলে ফলে এলাকায় ফড়েদের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমেছে। সেই সাথে বেড়েছে ধানের দাম। 


    গত বছর কুইন্টাল প্রতি কুড়ি টাকা উৎসাহ ভাতা সহ ধানের দাম ছিল ২২০৩ টাকা। এবারে তা বেড়ে হয়েছে ২৩২০ টাকা। এই নিয়ে সাঁকরাইলের চাষি বিশ্বরঞ্জন মাহাত বলেন, আমাদের এলাকায় সরকারি সহায় মূল্যে জোরকদমে ধান কেনা শুরু হয়েছে। ফড়েদের হাত থেকে বাঁচার জন্য সরকারের কাছে ধান বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই। সরকারের কাছে ধান বিক্রি করলে অনেকটাই টাকা বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)