সংবাদদাতা, চাঁচল: চাষের জমিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক কৃষকের। মঙ্গলবার সকালে মালদহের চাঁচল থানার সোনারায় গ্রামের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। জমিতে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের খুঁটির নীচে থাকা আর্থিংয়ের তারে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। যদিও বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি বলছে, বিদ্যুৎ চুরি করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম বাসিরুদ্দিন (৫০)। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবার জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে চাষাবাদ করতে জমিতে যান বাসিরুদ্দিন। প্রতিবেশীরা তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাসিরুদ্দিনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মৃতের আত্মীয় মনসুর আলির অভিযোগ, আগেও বাসিরুদ্দিন সেখানে তড়িদাহত হয়েছিলেন। আমরা নিশ্চিত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এতে বিদ্যুৎ দপ্তরের গাফিলতি রয়েছে। চুরির অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা থানার দ্বারস্থ হব।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহামুদুল হাসানের অভিযোগ, চাষের জমির উপর দিয়ে হাই ভোল্টেজের তার গিয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তর কৃষকদের সচেতনও করে না। গাফিলতির জন্যই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
চাঁচল থানার এক আধিকারিক বলেন, কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, সেটা ময়নাতদন্তের পরই স্পষ্ট জানা যাবে।
বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির মালদহের রিজিওনাল অফিসার সৌমেন দাস বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি বিদ্যুৎ চুরি করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দপ্তরের বিরুদ্ধে যে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়।
সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের পর দেহ গ্রামে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান প্রায় শতাধিক মানুষ। তাঁদের দাবি, বিদ্যুত্ দপ্তর আর্থিংয়ের তার নিয়ে ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।