স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা অমিল, টাকার অভাবে বন্ধ হয়েছে ছেলের চিকিত্সা
বর্তমান | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, চাঁচল: অভাবের সংসারে একমাত্র ছেলে অসুস্থ। টানা ছয়বছর ধরে হন্যে হয়ে সরকারি, বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে ছুটেছেন বাবা। তবুও সুস্থ হয়ে ওঠেনি ছেলে। বর্তমানে টাকার অভাবে থমকে রয়েছে চিকিৎসা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও সুবিধা মেলেনি বলে অভিযোগ। সরকার যাতে চিকিৎসায় সহায়তা করে সেই দাবি তুলেছে পরিবারটি। মালদহের চাঁচল ২ ব্লকের কাপাশিয়া গ্রামের সালিমুদ্দিন। তাঁর একমাত্র ছেলের বর্তমান বয়স ১৮ বছর। ১২ বছর বয়সে হঠাৎ অসুস্থতায় বিশেষভাবে সক্ষম হয়ে পড়ে। ঋণ করে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু এখনও অসুস্থ।
ছয়বছর ধরে বাড়িতেই শয্যাশায়ী সামিম আক্তার। খবর পেয়ে বুধবার তার বাড়ি যান মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। তিনি একটি নতুন হুইল চেয়ার প্রদান করেন। বিধায়ক বলেন, সরকারি ভাবে যাতে চিকিৎসা করানো যায় চেষ্টা করব। বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন গৌরহন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুবেজা খাতুন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষভাবে সক্ষমতার শংসাপত্র মিলেছে ছেলের। মানবিক ভাতা প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। ছেলে হাঁটাচলা করতে না পারলেও কথা বলতে পারেন। পরিবারের বিশ্বাস সুচিকিৎসা পেলে তাদের ছেলে সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা থমকে রয়েছে। সামিমের বাবা সালিমুদ্দিন বলেন, দিনমজুরি করে সংসার চালাই। ধারদেনা করে প্রায় তিনলক্ষ টাকা ছেলের চিকিৎসার খরচ হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে কিন্তু সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। ছেলে যাতে সুচিকিৎসা পায় সেই দাবি রাখছি সরকারের কাছে। চাঁচল ২ এর বিডিও শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, পরিবারের তরফে আবেদন জমা পড়লে চিকিৎসার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।