• ১১টাতেও কাজ শুরু হয় না কোচবিহার আরটিও অফিসে
    বর্তমান | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: বুধবার সকাল ১০টা। কোচবিহারের মহিষবাথান এলাকায় জেলা পরিবহণ দপ্তরের সব ঘরের চেয়ার ফাঁকা। কার্যত শুনসান বিশাল অফিস চত্বর। সোয়া ১০টা পেরিয়ে ঘড়ির কাঁটা সাড়ে ১০টায় পৌঁছল। তখন অফিসের গেটের বাইরে চায়ের দোকানে অপেক্ষা করছেন অনেকে। নাটাবাড়ি থেকে এসেছেন বৃদ্ধ শাহিদার মিয়াঁ। তিনি অফিসে কাজ শুরুর জন্য অপেক্ষা করছেন। বিহার থেকে তুফানগঞ্জ যাওয়ার পথে এক ট্রাকচালক জরিমানার শিকার হয়েছেন। গাড়ি অন্যত্র রেখে তিনিও এসেছেন। কিন্তু অফিসে কাজ শুরু হয়নি।


    পৌনে ১১টায় এক-দু’জন করে কর্মী আসতে শুরু করেছেন। অফিসারদের চেয়ার তখনও ফাঁকা। অফিসের পিছনের অংশে পরপর কাউন্টার। সেগুলি বন্ধ। সেই ঘরে সার সার চেয়ারে কোনও কর্মী নেই। বেলা ১১টায় অফিসে এলেন খোদ জেলা পরিবহণ আধিকারিক (আরটিও) নবীনচন্দ্র দে। জানা গেল, তিনি দু’দিন আগেই এখানে কাজে যোগ দিয়েছেন। নবীনবাবু বলেন, শীতকাল। কাজের জন্য অফিসে লোকজন দেরিতে আসেন। আমিও সদ্য এখানে কাজে যোগ দিয়েছি। সাড়ে ১০টার পর যাতে কেউ না আসেন সেই বিষয়টি দেখব। 


    আগে কোচবিহারের সাগরদিঘির উত্তরপাড়ে জেলা পরিবহণ আধিকারিকের দপ্তর ছিল। বছর কয়েক আগে মহিষবাথান এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে নতুন আরটিও অফিস গড়ে তোলা হয়। কিছুদিন আগে সেই অফিস চালু করার সময় তার সামনের এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে দোকান বানানো নিয়ে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়েছিল। এতে প্রশাসনকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। সাগরদিঘির পাড়ে এই অফিস থাকার সময় এখানে প্রচুর ভিড় হতো। রাস্তায় যানজট হতো। এসব কারণেই অফিসটির নিজস্ব ভবন নির্মাণ করে সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় অফিসটি ছিল প্রশাসনের নাকের ডগায়। ব্যস্ত অফিসপাড়ায়। এখন সেই অফিসই শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে হওয়ায় কিছুটা যেন লোকচক্ষুর আড়ালে। 


    প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে, গাড়ির ফিটনেস সংক্রান্ত কাজ করতে, জরিমানার টাকা দিতে এই পরিবহণ দপ্তরে আসেন। কিন্তু সপ্তাহের কাজের তৃতীয় দিন সকাল সকাল গিয়ে দেখা গেল অফিস চালু হতেই বেলা ১১টা গড়িয়ে যাচ্ছে। মানুষ কাজে এসে অপেক্ষা করছে।  বেলা গড়ালেও বন্ধ আরটিও’র কাউন্টার। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)