• মমতার সঙ্গে কথা বলা দরকার মোদির: তৃণমূল
    বর্তমান | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন চুপ মোদি?  বুধবার ফের সরব হল তৃণমূল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তৃণমূল সংসদে বাংলাদেশ ইস্যু তুলতেই সরব হয় বিজেপিও। শাসক দলের অন্দরেই দাবি ওঠে, প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করে ইসকনের সন্ন্যাসীকে জেল মুক্ত করুন। এই ঘটনায় বাংলাদেশ ইস্যুতে তৃণমূলের আক্রমণ আরও জোরালো হয়। দলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি এ ব্যাপারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা বলা দরকার বলে দাবি করেন। লোকসভার বাইরে সাংবাদিকদের সুদীপবাবু বললেন, বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের লায়োগা। তাই সেদেশে কোনও অশান্তি হলে, তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে পশ্চিমবঙ্গে। ফলে তিস্তার মতো ইস্যুতে যেমন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সমন্বয় রাখে, এক্ষেত্রেও তাই হোক। নরেন্দ্র মোদির উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা 


    করা।’ তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নেবে, তার সঙ্গেই থাকবে তৃণমূল। কিন্তু দিনের পর দিন হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, এমনকী ইসকনের সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তারের মতো ঘটনার পরেও ভারত সরকার চুপ থাকবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। বিশেষত যখন সংসদের অধিবেশন চলছে। কেন সরকার কোনও বিবৃতি দিচ্ছে না? কেন সরকার বাংলাদেশ হাই কমিশনারকে ডেকে পরিস্থিতি জানতে চাইছে না?’ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বাংলাদেশ ইস্যুতে পাশ হওয়া প্রস্তাব রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। 


    তৃণমূলের দেখানো পথে বিজেপির অন্দরেও সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিন লোকসভার জিরো আওয়ারে এ ব্যাপারে সরব হন বিজেপির তিন এমপি। মথুরার সাংসদ হেমা মালিনী বললেন, ‘কৃষ্ণ আমার হৃদয়ে। আর তাঁর পথ অনুসরণ করা ইস্কনের সন্ন্যাসীর ওপর যে অত্যাচার হচ্ছে, মেনে নেওয়া যায় না।’ যদিও তাঁর বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হল বলেই অভিযোগ। অসমের দিলীপ সইকিয়াও হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ তোলেন। তবে বিজেপির উজ্জয়িনীর সাংসদ অনিল ফিরোজিয়া সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। যা দেখে পরে সুদীপবাবুর মন্তব্য, বিজেপি এক অদ্ভূত দল। বিজেপি এমপিরা তুলছেন বাংলাদেশ ইস্যু। আর সরকার চুপ?  অন্যদিকে, এদিনও সংসদের মকর দ্বারে কংগ্রেসের দুর্নীতি ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখালেও যোগ দেয়নি তৃণমূল। 


    রাহুল গান্ধীর পরামর্শ মতো কংগ্রেসের লোকসভার উপদলনেতা গৌরব গগৈ সকালেই ফোন করেন সুদীপবাবুকে। কিন্তু তিনি খানিক ক্ষোভের সুরে জানিয়ে দেন, ‘বিরোধীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব হচ্ছে।’ যদিও এতে বিরোধী জোটে কোনও ফাটল নেই বলেই সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য নানা ইস্যুতে সরকারকে কোণঠাসা করা। এ ব্যাপারে বিরোধী জোটে কোনও দ্বিমত নেই। স্রেফ কৌশল আলাদা।’
  • Link to this news (বর্তমান)