• ৭ মাসের পথশিশুকে ধর্ষণ ‘নরাধম’এর খোঁজে পুলিস
    বর্তমান | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিকৃত যৌনলিপ্সা। এহেন ‘নরাধম’ কামনা চরিতার্থ করতে রেহাই দিল না সাত মাসের একরত্তি শিশুকেও। ঘুমন্ত মা-বাবার পাশ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ফুটপাতেই ধর্ষণ ওই শিশুকন্যাকে। লজ্জাজনক ঘটনার সাক্ষী খাস কলকাতা। শোভাবাজার এলাকায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ সংলগ্ন ফুটপাতে ঘটেছে লজ্জার এই ঘটনাটি। ফুটপাতের ওপরে অস্থায়ী ছাউনিতে বাবা-মা’র সঙ্গে ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল শিশুটি। অভিযোগ, কোনও এক ব্যক্তি তাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রায় ১০০ মিটার দূরে নিজের বিকৃত কামনা চরিতার্থ করে, ধর্ষণ করা হয় দুধের শিশুটিকে। তারপর চম্পট দেয় ঘটনাস্থল থেকে। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বড়তলা থানার পুলিস। ওই শিশুকে নিয়ে আর জি কর হাসপাতালে যায় পুলিস। প্রাথমিকভাবে শারীরিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে পকসো আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছেন তদন্তকারীরা। শুরু হয়েছে তদন্ত। শিশুটির চিকিৎসা চলছে আর জি কর হাসপাতালে। 


    গত ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালের ভিতরেই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। শুরু হয় রাজনৈতিক তরজাও। সেই ঘটনার চার মাসের মধ্যে এবার এক নরাধমের লালসার শিকার এক পথশিশু। পুলিস জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাত পৌনে দু’টো নাগাদ একটি ফোন আসে বড়তলা থানায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, তাঁদের বাড়ির সামনের ফুটপাতে দুগ্ধপোষ্য একটি শিশু কাঁদছে। দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। তার পা দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল বলে পুলিস সূত্রের খবর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুকন্যাকে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই এক দম্পতি থানায় এসে অভিযোগ জানান, তাঁদের সাত মাসের কন্যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছবি দেখায় পুলিস। মেয়েকে চিহ্নিত করেন মা। এরপরেই তাঁদের থানার গাড়িতেই আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মা-কে চিকিৎসকরা জানান, কেউ শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে। 


    নির্যাতিতার বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে পুলিস। লালবাজার সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা চলছে। যদিও প্রায় চার দিন অতিক্রান্ত  হয়ে গেলেও, এই ঘটনায় অভিযুক্তকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি কলকাতা পুলিস। তদন্তকারীদের দাবি, এলাকায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সন্দেহভানের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী তল্লাশি অভিযান চলছে। শীঘ্রই অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)