• ভক্ত, পর্যটকদের কাছে বাড়ছে ছোট কাছারি মন্দিরের আকর্ষণ
    বর্তমান | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বজবজ: ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের দুশো বছরের প্রাচীন ছোট কাছারি শিবমন্দির এখন পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় স্থান। উল্টো দিকে দুশো বছরের একটি বটগাছ ছাতার মতো রয়েছে। মন্দিরের দক্ষিণ দিকে গা দিয়ে চলে গিয়েছে চড়িয়াল খাল। অপরপারে কিছুটা দূরে জোকা মেট্রোর অন্তিম কারশেড। জায়গাটি নিরিবিলি ও আশপাশে সবুজের ছায়া থাকায় প্রতিদিন এখানে দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন। মন্দিরে গিয়ে পুজো দিচ্ছেন। বিশেষ তিথিতে শ’য়ে শ’য়ে মানুষ এখানে আসেন। সকাল থেকে লম্বা লাইন পড়ে যায়। এখন শীতের সময়। শীতে অনেকে এদিক-ওদিক ঘুরতে ভালোবাসেন। তাঁরাও ছোট কাছারি মন্দিরে এসে সারাটা দিন কাটিয়ে যাচ্ছেন। রবিবার ভিড় বেশি হচ্ছে। ভক্ত এবং পর্যটকদের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় খাবার থেকে নানা সামগ্রীর ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী দোকান বসে গিয়েছে। এই মন্দিরে দু’দিকে দিয়ে যাওয়া যায়। ডায়মন্ডহারবার রোড সংযোগকারী ঠাকুরপুকুর বাজারের ভিতর দিয়ে খালপোল। সেখান থেকে পশ্চিমে খানবেড়িয়া যাওয়ার রাস্তা ধরে গেলেই রাস্তার উপর ছোট কাছারি মন্দির। এছাড়া জোকা ইএসআই হাসপাতালের পর সি এইট বাস টার্মিনাস। তার গা দিয়েও একটি রাস্তা খালপোল গিয়েছে।


    ঠাকুরপুকুর মহেশতলা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বিপ্লব মণ্ডল জানান, ওই এলাকায় এখন প্রচুর লোকজন আসছে। ফলে জায়গাটি পর্যটন কেন্দ্রের মতো হয়ে গিয়েছে। তাই ওখানে মন্দির ও বটগাছ ঘিরে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। পানীয় জল, শৌচাগার এবং পর্যটক ও ভক্তদের বসার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাস্তা সংস্কার এবং বাতিস্তম্ভ বসানো হচ্ছে। এরপর জোকা মেট্রো স্টেশন থেকে এই মন্দির পর্যন্ত অটো ও টোটো রুট চালু করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)