• বারুইপুরের নেশামুক্তি কেন্দ্রে নাবালক রোগীকে জানালায় বেঁধে নগ্ন করে মারধর, গ্রেপ্তার পরিচালক
    বর্তমান | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: ফের বারুইপুর পুরসভা এলাকায় নেশামুক্তি কেন্দ্রে মারধর করা হল চিকিৎসাধীন রোগীকে। এবার ঘরের ভিতরে জানালায় গামছা দিয়ে উল্টো করে বেঁধে ঝুলিয়ে নগ্ন করে ১৪ বছরের এক নাবালক রোগীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুরাতন বাজার সংলগ্ন একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে। এই মারধরের ভিডিও বারুইপুর থানার পুলিসের হাতে আসে। এরপরে পুলিস মঙ্গলবার রাতেই ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে যায়। নাবালক রোগীকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, আরও একজন রোগীকে তাঁর বাড়িতে পাঠিয়ে নেশামুক্তি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিস। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের পরিচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। পাশাপাশি, যে ঘর ভাড়া নিয়ে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্র চলছিল, তার মালিককেও থানায় ওই কেন্দ্রের কাগজপত্র জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মালিক শিবুপ্রসাদ সাহা বলেন, ১১ মাসের ঘর ভাড়া নেওয়ার চুক্তি করে নেশামুক্তি কেন্দ্র চালাচ্ছিলেন বেগমপুরের বাসিন্দা পার্থ চক্রবর্তী। আমি পুলিসের কাছে জানতে পারি, এক নাবালককে মারধর করা হয়েছে। এরপরেই পুলিসের কথা মতো আমি সব কাগজপত্র থানায় জমা দিয়েছি।


    পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত ভাড়াটিয়ার নাম পার্থ চক্রবর্তী ওরফে বাবাই। বাড়ি বেগমপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। ২৬ দিন আগে ১৪ বছরের এক নাবালককে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করেছিলেন তার পরিবার। মঙ্গলবার গোপন সূত্রে সেই নাবালককে মারধরের ভিডিও পুলিসের কাছে চলে আসে। তারপরেই পুলিস তৎপর হয়ে নেশামুক্তি কেন্দ্রে তল্লাশি চালিয়ে নাবালককে উদ্ধার করে। তার পরিবারের লোকজনকেও পুলিস খবর দিয়েছে। এদিকে, ওই নেশামুক্তি কেন্দ্র সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই কেন্দ্রে ৫-৬ জন রোগী থাকতেন। এর আগেও তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বারুইপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। তারপরে আবার এই ঘটনা।
  • Link to this news (বর্তমান)