শীতের আমেজ মানেই বাঙালির কাছে-পিঠে ঘুরতে যাওয়া। ঘুরতে গিয়ে যদি রং-বেরঙের পাখির দেখা মেলে, তাহলে তো আর কথাই নেই! ডিসেম্বর মাসেই অনেকেই পাখি দেখতে হাজির হয়ে যান বর্ধমানের চুপির চর পাখিরালয়ে। তবে, এ বার পরিযায়ী পাখির সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে দাবি পর্যটকদের। কী জানাচ্ছে বন দপ্তর?
কয়েক বছর ধরে পরিযায়ী পাখিদের আসতে দেখা যায় ছাড়িগঙ্গা সংলগ্ন এলাকায়। সেই ছাড়িগঙ্গা ভরে গিয়েছে কচুরিপানায়। ফলে পর্যাপ্ত খাবার পেতে সমস্যা হচ্ছে পাখিদের। কচুরিপানার কারণে পাখি দেখাতে পর্যটকদের নিয়ে যেতে পারছেন না নৌকার মাঝিরাও। হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে পর্যটকদের। একাধিকবার মাঝিরা নিজেদের উদ্যোগেই কচুরিপানা সাফ করেছেন। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
শীতের শুরুতেই পূর্বস্থলীর চুপির চরে ভিড় করে লেসার হুইসলিং, ব্ল্যাক আইরিশ, লিটল গ্রিব-সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। পর্যটকদের কাছে যা বাড়তি পাওনা। কিন্তু সেই পাখির সংখ্যা অনেকটাই কমে যাচ্ছে বলে অখুশি পর্যটকরা। এক পর্যটক বলেন, ‘আমি প্রতি বছরই পাখি দেখতেই আসি। কিন্তু এখানে এসে দেখছি ছাড়িগঙ্গায় প্রচুর কচুরিপানা। যাতায়াতের পক্ষে অসুবিধা হচ্ছে।’
বিষয়টি নিয়ে বনবিভাগের রেঞ্জ অফিসার (কাটোয়া) শিবপ্রসাদ সিনহা বলেন, ‘পাখি এখনও সে ভাবে আসেনি। চুপির জলাশয় যেটি ছাড়িগঙ্গার অন্তর্ভুক্ত, সেই জলাশয় পরিষ্কার না হলে পাখি কী করে আসবে? পাখি আসতে গেলে জলাশয় থেকে পানা সরাতে হবে।’ জলাশয় পরিষ্কারের জন্য জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।