• ‘অপ্রয়োজনীয় কাজে বাহিনীর ব্যবহার নয়’
    আনন্দবাজার | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়েছিল বিভিন্ন জেলার নানা ক্যাম্পে। প্রয়োজন মিটে যাওয়ার পরেও সেই সব পুলিশকর্মীর অনেককেই ফেরানো হয়নি আগের ইউনিটে। শুধু তা-ই নয়, অনেক পুলিশকর্মীকে দিয়ে এমন কাজ করানো হচ্ছে, যা তাঁদের করার কথাই নয়। বিষয়টি নজরে আসার পরেই কড়া পদক্ষেপ করেছে রাজ্য পুলিশের শীর্ষমহল। সেই সব পুলিশ কর্মীদের তাঁদের নিজের ইউনিটে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিমের সই করা একটি নির্দেশিকায় লেখা হয়েছে, ‘পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে বিভিন্ন জেলার পুলিশ ক্যাম্পে মোতায়েন করা পুলিশ কর্মীদের নির্দিষ্ট সময় পরেও ছেড়ে দেওয়া (রিলিজ়) হয়নি। দীর্ঘকাল ধরে তাদের রেখে দেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের ভাগ করে নানা জায়গায় পাঠানো হয়েছে। আরও লক্ষ করা গিয়েছে, যে কাজের জন্য তাঁদের মোতায়েন করা হয়েছিল, সেই কাজে তাঁদের ব্যবহার করা হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের অপ্রয়োজনীয় (নন এসেনশিয়াল) কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

    এক পুলিশকর্তা বলেন, “বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন ব্যাটেলিয়ন থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফোর্স পাঠানো হয় নানা ক্যাম্পে। কিন্তু লক্ষ করা গিয়েছে, নির্দিষ্ট কাজের জন্য মোতায়েন করা হলেও, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ফোর্সকে অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নেওয়া হয় না।’’

    কী রকম? তাঁর দাবি, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ব্যবহারের কথা বলা হলেও কোথাও কোথাও অফিসের কাজে, সেরেস্তায়, গাড়ি তল্লাশির কাজে ব্যবহার করা হয় ফোর্সকে, যা মোটেও কাম্য নয়।” গত ২৯ নভেম্বরের ওই নির্দেশিকায় গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ৭০টি ক্যাম্পে মোতায়েন পুলিশকর্মীর সবিস্তার তথ্য দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকাটি পাঠানো হয়েছে বিধাননগর, হাওড়া, ব্যারাকপুর, চন্দননগর, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার, বারাসত, বসিরহাট, জঙ্গিপুর, ইসলামপুর জেলা পুলিশ এবং ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, মালদহ, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং ও কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপারকে।

    পুলিশের শীর্ষ মহল অবশ্য দাবি করেছে, এই নির্দেশ পুলিশ ক্যাম্প প্রত্যাহার করার জন্য নয়। শুধু কোথায় কত ফোর্স আছে, তারা কী করছে, সে সব তথ্য জেনে নেওয়া হচ্ছে।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)