এক পুলিশকর্তা বলেন, “বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন ব্যাটেলিয়ন থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফোর্স পাঠানো হয় নানা ক্যাম্পে। কিন্তু লক্ষ করা গিয়েছে, নির্দিষ্ট কাজের জন্য মোতায়েন করা হলেও, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ফোর্সকে অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নেওয়া হয় না।’’
কী রকম? তাঁর দাবি, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ব্যবহারের কথা বলা হলেও কোথাও কোথাও অফিসের কাজে, সেরেস্তায়, গাড়ি তল্লাশির কাজে ব্যবহার করা হয় ফোর্সকে, যা মোটেও কাম্য নয়।” গত ২৯ নভেম্বরের ওই নির্দেশিকায় গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ৭০টি ক্যাম্পে মোতায়েন পুলিশকর্মীর সবিস্তার তথ্য দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকাটি পাঠানো হয়েছে বিধাননগর, হাওড়া, ব্যারাকপুর, চন্দননগর, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার, বারাসত, বসিরহাট, জঙ্গিপুর, ইসলামপুর জেলা পুলিশ এবং ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, মালদহ, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং ও কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপারকে।
পুলিশের শীর্ষ মহল অবশ্য দাবি করেছে, এই নির্দেশ পুলিশ ক্যাম্প প্রত্যাহার করার জন্য নয়। শুধু কোথায় কত ফোর্স আছে, তারা কী করছে, সে সব তথ্য জেনে নেওয়া হচ্ছে।