বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের ঠিক ১২ দিনের মাথায় মহারাষ্ট্রে আজ সরকার গড়ছে বিজেপি-শিন্ডেসেনা এবং এনসিপি (অজিত)-র ‘মহাজুটি’। আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস। বিজেপি সূত্রে খবর, তাঁর সঙ্গেই একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এখনও শিন্ডে এ বিষয়ে কিছু জানাননি। যদিও অজিত জানিয়েছেন, তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। আজ এই সংক্রান্ত খবরে নজর থাকবে।
বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন বসবে আজও। কলকাতা থেকে লন্ডনের মধ্যেক বিমান চলাচল ফের শুরু করতে আজকের অধিবেশনে প্রস্তাব আনবেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হবে বিধানসভায়। শুক্র থেকে রবিবার বিধানসভার অধিবেশনে বিরতি। সোমবার থেকে আবার বসবে অধিবেশন।
বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে বুধবার বৈঠক করেছেন সে দেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁর। লক্ষ্য, সে দেশের জাতীয় ঐক্য স্থাপন করা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতার আক্রমণের অভিযোগের আবহে এই বৈঠক ডেকেছে ইউনূসের প্রশাসন। বুধবার বিকেলের বৈঠকে বিএনপি-সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে গত অগস্টে হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের যা পরিস্থিতি সে দেশে, তাতে স্বাভাবিক ভাবেই বুধবারের বৈঠকে হাসিনার দলের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। সে দেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতির কথা শুধু ভারতেই নয়, অন্য দেশগুলিতেও আলোচনা হচ্ছে। তা মোটেই পছন্দ করছে না বাংলাদেশ। মঙ্গলবার ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলবের পর বুধবার ডেকে পাঠানো হয় ঢাকায় ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত সারাহ কুককে। সম্প্রতি ব্রিটেনের সংসদে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা উঠে আসে। তা নিয়েই ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারত বা অন্য কোনও দেশের হস্তক্ষেপ চাইছে না সে দেশের তদারকি সরকার। তাদের দাবি, সে দেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদেই রয়েছেন। এই অবস্থায় বাংলাদেশের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে ইউনূসের বৈঠকে কী নির্যাস উঠে আসে, সে দিকে নজর থাকবে আজ।
আজ এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বেলা ১২টা নাগাদ প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে শুনানি রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। ওই নির্দেশ স্থগিত রয়েছে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ হাই কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। সেই থেকে মামলাটি আর শুনানির জন্য ওঠেনি। আজ ওই মামলাটি শীর্ষ আদালতের শুনানির তালিকায় রয়েছে।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। নিয়োগ মামলায় তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করতে চেয়ে বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু পর পর দু’দিন আদালতে হাজির করানো যায়নি ‘কাকু’কে। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, ‘কাকু’র ডায়েরিয়া হয়েছে। পেটে ব্যথা এবং দুর্বলতা রয়েছে। এর পর আদালত নির্দেশ দেয়, আজ ‘কাকু’কে আদালতে হাজির করাতে হবে। এ ছাড়া, এই মামলায় ধৃত হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বেহালার প্রোমোটার সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কেও আজ আদালতে হাজির করানোর কথা। বুধবার তাঁদের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছে সিবিআই। নিয়োগ মামলায় হাতে পাওয়া একটি অডিয়োর সঙ্গে ওই দু’জনের কণ্ঠস্বর মিলিয়ে দেখা হবে। অন্য দিকে, সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের হাজিরায় স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। তাঁর বক্তব্য, যে হেতু সুজয়কৃষ্ণের বিষয়টি নিয়ে হাই কোর্টে মামলা চলছে, তাই আজ হাজিরার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। আজ এই আবেদনেরও শুনানি রয়েছে।