কোর্টের খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে কর্মদিবস বাড়াতে হাই কোর্টের একটি কমিটি মাস কয়েক আগে বৈঠকে বসেছিল। সেই কমিটি পুজোর ছুটি কমিয়েছে। সেখানেই হাই কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন (বর্তমানে সেখানে বিজেপিপন্থীদের প্রতিনিধিত্ব পর্যাপ্ত) রামনবমীর ছুটির আর্জি জানিয়েছিল। বিজেপিপন্থী আইনজীবী কল্লোল মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘রামনবমীতে কেন্দ্রীয় সরকার ছুটি দেয়, এ বছর থেকে রাজ্য সরকারও ছুটি দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে রামনবমীতে ছুটি থাকে কিন্ত পয়লা মে থাকে না। তাই প্রধান বিচারপতি এই দিনে ছুটি ঘোষণার প্রয়োজন বোধ করেছেন। সাধারণত বামপন্থীশাসিত রাজ্যগুলিতে পয়লা মে ছুটির রীতি ছিল। ভারতবর্ষের সাথে ১ মে-র ঐতিহাসিক বা সাংস্কৃতিক যোগ নেই। কিন্তু রাম আমাদের সংস্কৃতি।’’
এ দিকে, অল ইন্ডিয়া লয়ার্স ইউনিয়নের হাই কোর্ট শাখার সম্পাদক শামিম আহমেদ বলছেন, ‘‘২০১৭ সাল থেকে ‘অজ্ঞাত কারণে’ মে দিবসের ছুটি বন্ধ করা হয়। ওই ছুটি দেওয়ার জন্য বহু বার হাই কোর্ট কলেজিয়ামের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু তা হয়নি। অথচ রামনবমীতে ছুটি দেওয়া হয়েছে! প্রধান বিচারপতিকে এ বিষয়ে ইমেল করা হলেও উত্তর মেলেনি।’’ হাই কোর্টের আইনজীবী এবং বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মল্লিক অবশ্য বলেন, ‘‘রামনবমীর ছুটিকে আরও একটা সাধারণ ছুটি হিসেবেই দেখছি। এর আগে রথযাত্রা, বুদ্ধ পূর্ণিমাতেও ছুটি দিয়েছে হাই কোর্ট কলেজিয়াম। বিচারপতিরা মনে করেছেন তাই রামনবমীর ছুটি দিয়েছেন। এ নিয়ে অযথা বির্তক বা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিবেচনার প্রয়োজন নেই।’’