বন দফতর সূত্রে খবর, মৃত চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শিলিগুলির বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে বন দফতরের অনুমান, গাড়ির ধাক্কাতেই চিতাবাঘটির মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ হলেই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব।
গত বছর অগস্ট মাসেও একই ভাবে একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে গাড়ির ধাক্কায়। ঘোষপুকুর-ফুলবাড়ি বাইপাসে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর কমলাবাগান এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল। গাড়ির ধাক্কায় এ ভাবে চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনায় বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকের প্রশ্ন, সাধারণত যে সব এলাকায় চিতাবাঘ চলাফেরা করে, সেই সব এলাকায় কেন গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করা হয় না?
যদিও কার্শিয়াং বন বিভাগের ডিএফও দেবেশ পাণ্ডে বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় একটি স্ত্রী চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে। জাতীয় ও মূল সড়কে গাড়ির গতিবেগ নির্ধারিত করে দেওয়া রয়েছে। এমনকি সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় চালকদের সতর্কও থাকতে বলা হয়। তার পরেও এই ধরনের ঘটনা ঘটছে! বন দফতর কিন্তু গাড়িচালকদের সচেতন করে থাকে।’’