পুলিশ সূত্রে খবর, আসানসোল পুরনিগমের অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দন এবং তাপসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পুকুর ভরাট ও সরকারি জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছেন, দুর্গাপুর-আসানসোলে একাধিক সরকারি জমি দখল করে পরে সেই জমি নিজেদের নামে করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে দু’জনের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, পুকুর ভরাট করে সেই জমি বিক্রি করা, জমির নথি থেকে ‘পুকুর’ শব্দ সরিয়ে সেই জমিকে বাস্তু জমি বলেও চালাতেন অভিযুক্তেরা।
তদন্তকারীদের ওই সূত্রের বক্তব্য, চন্দন, তাপসদের মতো আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের অন্তত ৫০ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই আসানসোলে লোহা, বালি, কয়লা ও জমি কারবারিদের একে একে গ্রেফতার করা হচ্ছে। চন্দন, তাপসদের চক্রের সঙ্গে আর যাঁরা জড়িত, তাঁদের খোঁজেও তল্লাশি চালাবে পুলিশ এবং ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। গত নভেম্বর মাসে পুকুর ভরাটের অভিযোগে এহেতেসাম আজমি ওরফে উইলসন নামে এক জমি মাফিয়াকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁকে জেরা করে চার জনের নাম উঠে এসেছিল। সেই চার জনের মধ্যে চন্দনের নামও ছিল।