বছরকুড়ি আগে স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়িতে শুরু হয়েছিল এই আইসিডিএস সেন্টারটি। পরবর্তী সময়ে এলাকার কচিকাঁচাদের অসুবিধা হওয়ায় শিবনগর আবাদ এলাকার কল্যাণী তুঙ্গে নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা ১০ বছর আগে স্কুলের জন্য একটি জায়গা বিনা শর্তে দান করেন। কিন্তু তার পরেও দীর্ঘ সময় কেটে গিয়েছে। এখনও স্কুল তৈরি হয়নি ওই এলাকায়। অগত্যা সেই জায়গার মালিকের মৃত্যুর পর তাঁর বাড়ির গোয়ালঘরে শুরু হয়েছে আইসিডিএস স্কুল!
খুব স্বাভাবিক ভাবেই গোয়ালঘরের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। চতুর্দিকে নোংরা পড়ে রয়েছে। জায়গাটি ছোট হওয়ায় ঠিকঠাক বসতেও পারে না ছাত্রছাত্রীরা। এদিকে সেই ময়লার মধ্যেই কোনও ক্রমে হচ্ছে বাচ্চাদের জন্য রান্নাবান্নাও।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, বিষয়টি নিয়ে বারে বারে ব্লক প্রশাসন থেকে সমস্ত দরবারে ছুটেছেন তাঁরা। প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে দলীয় নেতৃত্বরা একাধিকবার পরিদর্শনও করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি হয়নি।
ওই আইসিডিএস সেন্টারে একজন শিক্ষিকা ও একজন সহায়িকা রয়েছেন। অভিযোগ, শিক্ষিকার নাকি দেখাই পাওয়া যায় না, স্কুলে মাসে একদিন আসেন তিনি। এভাবেই জরাজীর্ণ ময়লা পরিস্থিতি ও বিশৃঙ্খলার মধ্যেই দিনের পর দিন ধরে চলেছে আইসিডিএস সেন্টারটি!
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি নাকি তাঁর জানাই ছিল না! দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে গোয়ালঘরের মধ্যে চলছে আইসিডিএস সেন্টার আর তা জানা নেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির? এ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এই বিষয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, এটাই হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন, যেখানে গোয়ালঘরের মধ্যে কুড়ি বছর ধরে চলছে আইসিডিএস সেন্টার!