কলেজ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শারীরশিক্ষার বিভাগের অধ্যাপক। অভিযোগ, গত বেশ কয়েক মাস ধরেই ওই বিভাগেরই এক ছাত্রীকে হোয়াটস অ্যাপে অশ্লীল মেসেজ পাঠাচ্ছিলেন তিনি। এরপর গতকাল বুধবার যখন সেই চ্য়াট ভাইরাল হয়ে যায়, তখন কলেজ কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রীরা।
এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কলেজের অন্য় পড়ুয়ারা। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা আমাদের কর্তৃপক্ষ অনেক আগে থেকে জানত। রীতিমতো চেপে রাখা হয়েছিল আমাদের কাছ থেকে, অধ্যাপকদের কাছ থেকেও। আমাদের জেন্ডার সেল আছে। সেখানকার যিনি প্রধান, তিনিও জানতেন না। ধামাচাপা দেওয়ার ব্যাপার চলছিল। কিন্তু ব্যাপারটা ফাঁস হয়ে যায়। আস্তে আস্তে আমরা দেখতে পারি, কী হয়েছে না হয়েছে!এটার পরে যখন কর্তৃপক্ষকে জানতে চাই, এটা কেন হচ্ছে? কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? কর্তৃপক্ষ আমাদের দিচ্ছে না'।
এর আগে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্য়াপকের হাতেই র 'মানসিক ও শারীরিকভাবে হেনস্থা'র শিকার হয়েছিলেন এক ছাত্রী। স্রেফ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই নয়, UGC-র কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছি। আমি জানি না আমার এর পর কী করা উচিত। কেন আমার সঙ্গেই এমন হচ্ছে। আমার সম্মান নিয়ে টানাটানি হচ্ছে। আমি শুধুই সুবিচারের আশা করছি'।