অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বাজারে ছেয়ে যাচ্ছে ক্ষতিকারক চিনা রসুন। না বুঝেই আমজনতা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। যা ব্যবহারে কিডনি ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে হাওড়ার গুদাম থেকে কয়েক লক্ষ টাকার চিনা রসুন উদ্ধার করল সাঁকরাইল থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে গোডাউনের ম্যানেজারকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই গুদাম থেকে ২৫৪ ব্যাগ চিনা রসুন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রতি ব্যাগে ১৮ কেজি করে রসুন ছিল। মোট প্রায় ৭ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার রসুন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে গোডাউনের ম্যানেজার উপেন্দ্র যাদবকে। একইসঙ্গে গুদামের মালিক অরবিন্দ জয়সওয়ালের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উপেন্দ্র জানিয়েছে, কখনও হিমাচলপ্রদেশ আবার কখনও উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে এই চিনা রসুন নিয়ে আসা হত। গত মঙ্গলবার রাতে এক ট্রাক রসুন মজুত করা হয়। যা হাওড়া, কলকাতা-সহ শহরতলির বিভিন্ন বাজারে পাঠানোর কথা ছিল। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, “চোরাপথে খুব কম দামে এই রসুন এনে চড়া দামে বাজারগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া হত। অরবিন্দ জয়সওয়াল নামের এক ব্যবসায়ী এই গোডাউনে রসুন মজুত করেছিল। তাঁর খোঁজ চলছে।”
এদিকে শহরের ছোট-বড় বাজারগুলোতে যেভাবে চিনা রসুন ছেয়ে পড়ছে, তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন প্রশাসনিক কর্তারা। জানা গিয়েছে, মিথাইল ব্রোমাইড নামের এক ধরনের ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহার করার ফলে ২০১৪ সালে চিনা রসুন আমদানি বন্ধ করে ভারত সরকার। নিষেধাজ্ঞা জারির পরেও বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যগুলোতে চিন থেকে চোরাপথে এই রসুন ঢুকছে। সাদা ধবধবে রং, বড় বড় কোয়া নজর কাড়লেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনা রসুন নিয়মিত খাওয়ার ফলে মিথাইল ব্রোমাইডের প্রভাবে লিভার ও কিডনির নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকী, স্নায়ুশক্তির উপরেও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে চিনা রসুন।