• প্রশ্নপত্রের সিল খোলার নিয়মে বদল! প্রশ্নফাঁস রুখতে নতুন পদক্ষেপ উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের
    আনন্দবাজার | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে এ বার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পথে হাঁটল পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এত দিন সংসদ থেকে বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে পরীক্ষার হলে পৌঁছত প্রশ্নপত্র। আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সেই ধাপগুলিই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।

    নিয়ম হল, সংসদ থেকে প্রশ্নপত্র সোজা পরীক্ষাকেন্দ্রে সুপারভাইজ়ারের ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়। তার পর সুপারভাইজ়ারই পরীক্ষা শুরু হওয়ার অন্তত ৪৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের সিল খুলতেন এত দিন। পরে তা আবার সিল করে পরীক্ষার হলে পাঠিয়ে দেওয়া হত। সংসদ সভাপতি জানান, এ বার থেকে প্রশ্নপত্রের সিল আর সুপারভাইজ়ারের ঘরে খোলা হবে না। একেবারে পরীক্ষার হলে পরীক্ষার শুরুর মুহূর্তে ছাত্রছাত্রীদের সামনেই খোলা হবে।

    আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করতেই জেলায় জেলায় গিয়ে বৈঠক করছেন চিরঞ্জীব। সেই সূত্রেই বৃহস্পতিবার মালদহ টাউনে গিয়েছিলেন তিনি। বৈঠকের পর তিনি জানান, এ বার প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রেই মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা থাকবে। একই সঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে বারকোড, সিরিয়াল নম্বর, কিউআর কোডের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংসদ সভাপতি।

    প্রসঙ্গত, সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ধাঁচে গত বার থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রে ‘ইউনিক সিরিয়াল নম্বর’ ব্যবহার চালু হয়েছিল। প্রশ্ন ফাঁস হলে অপরাধীদের যাতে দ্রুত ধরা যায়, তা নিশ্চিত করতেই ‘ইউনিক সিরিয়াল নম্বর’ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্রের উপরে ডান দিকে একটি সিরিয়াল নম্বর থাকে। সেই নম্বরটি উত্তরপত্রের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় লিখতে হয় পরীক্ষার্থীদের। পরীক্ষাকেন্দ্রে যাঁরা দায়িত্বে থাকেন, তাঁদের কাজ— পরীক্ষা শুরুর আগেই এই বিষয়টি পরীক্ষার্থীদের বুঝিয়ে দেওয়া। সংসদের নির্দেশ, পরীক্ষাকেন্দ্রের পরিদর্শকেরা (ইনভিজ়িলেটর) যখন উত্তরপত্রে নিজেদের সই করবেন, তখন ভাল করে মিলিয়ে দেখে নেবেন সিরিয়াল নম্বর উত্তরপত্রে রয়েছে কি না এবং সেটি ঠিক লেখা হয়েছে কি না।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)