পর্যটন, সংস্কৃতি বা কোনও বিশেষ জাতির ঐতিহ্যের মতো বিষয়কে তুলে ধরলে সেই মেলাকে পর্যটন, তথ্য সংস্কৃতি বা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর সরকারি ভাবে মান্যতা দেয়। রাজ্যসভায় শূন্য প্রহরে দেওয়া নোটিসে মমতাবালা জানিয়েছেন, কুম্ভমেলা যেখানে প্রতি চার বছর অন্তর হয়, সেখানে প্রতি বছর মকরসংক্রান্তিতে সাগরমেলা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ পূণ্যার্থীর প্রতি বছর সাগরমেলায় যান। গত বছরই পূণ্যার্থীর সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এ বছর সেই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলেই দাবি করেছেন মমতাবালা। সাংসদ জানিয়েছেন, পূণ্যার্থীদের থাকাখাওয়া, নিরাপত্তার সব দায়িত্ব রাজ্য সরকারই নেয়। রাজ্য সরকারই সব খরচ বহন করে। কেন্দ্র থেকে কোনও সাহায্য আসে না। তা নজরে রেখেই সাগরমেলার জাতীয় তকমা দাবি করেছেন মমতাবালা।
গত বারই সাগরমেলার উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘‘কুম্ভমেলার থেকেও বড় এই মেলা। অথচ কুম্ভের জন্য আর্থিক সাহায্য করলেও গঙ্গাসাগর মেলার জন্য এক পয়সাও দেয় না কেন্দ্র।’’ বিষয়টি নিয়ে আসরে নেমেছিল তৃণমূলও। তাদের বক্তব্য ছিল, সারা দেশ থেকে আসা পুণ্যার্থীদের জন্য কেন্দ্র এই দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না।
পাল্টা বিজেপির বক্তব্য, সাগরমেলায় কখনওই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানাননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সেই কাজটি করলে বঙ্গের বিজেপি নেতারাই সাগরমেলার জাতীয় তকমার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করবেন।