প্রতারণা চক্রে আন্তর্জাতিক যোগ! সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার তিন পান্ডা
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
অন্তঃরাজ্য নয়, সাইবার প্রতারণায় এবার যোগ মিলল আন্তর্জাতিক চক্রের। অভিযোগ, অনলাইন গেমিং অ্যাপ এবং বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগের নাম করে প্রতারণা করা হত লক্ষ লক্ষ টাকা। তারই সন্ধানে নেমে এবার প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডা শিলিগুড়ির যুবক এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট-সহ মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করল রাজ্য সিআইডি।
সূত্রের খবর, গত জুন মাসে শহরের এক চিকিৎসকের কাছ থেকে বেসরকারি সংস্থার নাম করে কয়েক ধাপে নেওয়া হয় ১.১৩ কোটি টাকা। বিপুল আর্থিক রিটার্নের নামে এই টাকা নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে রিটার্ন ফেরত না পেয়ে বিধাননগর সাইবার শাখায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত চিকিৎসক। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এবার আন্তর্জাতিক যোগ পেল রাজ্য সিআইডি। তদন্তে নেমে অভিষেক বনশল, মোয়াঙ্ক চৌধুরী এবং অমিত জিন্দাল নামে চক্রের মূল তিন মাথাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় নাগেরবাজার এলাকার এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে। সূত্রের খবর, ধৃতদের জেরা করে জানা যায় গোটা চক্র চলতো দুবাই থেকে। একই সঙ্গে চক্র চালানো হতো কম্বোডিয়া এবং শ্রীলঙ্কা থেকেও। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে কলকাতায় খোলা হয়েছিল ভুয়ো কোম্পানি। যার জন্য তৈরি করা হয়েছিল নকল কাগজ এবং যাবতীয় নথি।
প্রসঙ্গত, তদন্তে জানা যায় ভারত থেকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হতো সিম কার্ড। সেই সিমকার্ড ব্যবহার করেই খোলা হতো মিউল অ্যাকাউন্ট। ঘটনার তদন্তে এই রকমই প্রায় ২৫০০ মিউল অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিষেক শিলিগুড়ির বাসিন্দা। পেশায় চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট অভিষেকের সঙ্গে নেপালের এক জুয়ার ঠেকে আলাপ হয় মোয়াঙ্কের। প্রথমে তারাই দুবাই গিয়ে প্রতারণার পরিকল্পনা তৈরি করে। তারপর সেই প্রতারণা চক্রের সদস্য হয়ে ওঠে বিহারের মোজাফ্ফরপুরের বাসিন্দা অমিত। মূলত তাদের অঙ্গুলিহেলনেই চলতো প্রতারণা চক্র। সূত্রের খবর, কলকাতার অফিস কেমন চলছে, তা দেখতে মাঝে মধ্যেই শহরের পাঁচতারা হোটেলে থাকতো প্রতারকরা। সম্প্রতি অভিযোগ সামনে আসার পর আইপি অ্যাড্রেস ধরে প্রতারকদের নাগাল পায় সিআইডি।