পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম জসবীর কউর। প্রায় ২২ বছর ধরে দক্ষিণেশ্বরের খালসা মডেল স্কুলের কিন্ডারগার্টেন বিভাগে শিক্ষকতা করতেন তিনি। আজ, দুপুরে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে ভিডিয়োতে ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, স্কুলে কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করছেন প্রিন্সিপাল ও স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যরা। ট্রেনিং নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন তিনি। এরপরই বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করেন জসবীর। আগামিকাল, শুক্রবার সাগর দত্ত সাগর হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত হবে।
সেই ভিডিয়ো এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। বস্তুত, ভিডিয়ো দেখেই বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে জসবীরের ফ্ল্যাটে পৌঁছন তাঁর ভাই। দরজা ভেঙে ওই শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি। মৃতের ভাই জানিয়েছেন, 'ওর সঙ্গে তিন-চার বছর ধরে স্কুল থেকে এত বেশি মানসিক অত্যাচার করা হত। মাথাটা ঠিক থাকল না। স্কুল থেকে এসে বলত, খুব অত্যাচার করছে এরা। কুড়ি বছরের বেশি পড়াচ্ছিলেন। বার বার বলা হচ্ছে, টিচার্স ট্রেনিংয়ের কোর্স করে লেটা দাও এখানে। আমার জামাইবাবুর মৃত্যুর পর ওকে চাকরি দিয়েছিল স্কুল পরিচালন সমিতি'। অভিযোগ, 'প্রিন্সিপাল তো খুবই অত্যাচার করতেন। এত বছর ধরে পড়াচ্ছেন, কীভাবে ওকে বার করে দিই। আগে দু'চারজন শিক্ষকের গ্র্যাচুইটি দেয়নি'।