২০২৫ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ৩ মার্চ। চলবে ১৮ মার্চ পর্যন্ত। সংসদের চেয়ারম্যানের বলেন, 'সেপ্টেম্বরে যে পরীক্ষাটা হবে, সেটা কিন্তু উত্তমাধ্যমিকের সমতুল পরীক্ষা। আবার এর পরবর্তী মার্চে আবার হবে। বছরে দু'বার করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এটা নতুন ব্যবস্থা। মার্চের পরীক্ষা নিউ সিস্টেমের শেষ পরীক্ষা। এটা অত্যন্ত সুষ্টু ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করার বার্তা দেওয়া হয়েছে'।
সংসদ-চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, 'প্রশ্নপত্র যখন পরীক্ষাকেন্দ্র পৌঁছচ্ছে, তখন শর্টিং বলে একটা ধাপ থাকে। সেই ধাপটাকে আমরা পুরোপুরি বাদ দিয়েছি, যাতে পরীক্ষা স্বচ্ছতা আরও বেশি বজায় রাখা যায়। প্রশ্নপত্র মেলানো ধাপটি থাকছে না। আগে Venue সুপারভাইসারের ঘরে গিয়ে প্রশ্নপত্র পৌঁছাত, সেখানে প্যাকেট খোলা হত। ১০টার সময়ে পরীক্ষা শুরু। ৯-সওয়া ৯টার মধ্যে প্রশ্নপত্র পৌঁছে যেত। তখন কিন্তু প্যাকেট খুলে রাখা হত। তখন ফাঁস হওয়ার সুযোগ থাকে। এবার প্রশ্নপত্র খোলা হবে না। একদম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মতো ক্লাসরুমে মানে পরীক্ষার হলে চলে যাবে। এবং একদম হলে দিয়ে পরীক্ষার্থীদের সামনে প্যাকেট খোলা হবে। প্রত্যেকটা পরীক্ষাকেন্দ্র এবার আমরা মেটাল ডিটেক্টরের ব্য়বস্থা করব, যাতে মোবাইল বা কোন ইলেকট্রিক কমিউনিকেশন ডিভাইস নিয়ে কেউ যেন ঢুকতে না পারে'।
এদিকে উচ্চ পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে অ্যাডমিট কার্ডে নয়া তথ্য যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদ। কী সেই তথ্য? অ্যাডমিট কার্ডে লেখা থাকবে পরীক্ষাকেন্দ্রে নামও। সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি বছর পরীক্ষার প্রথম দিনে দেখা যায় পরীক্ষার্থীর যেখানে সিট পড়েছে সেখানে না গিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে হাজির হন। অনেক ক্ষেত্রে আবার পরীক্ষার্থী নিজেই চলে যায় ভুল পরীক্ষাকেন্দ্রে। সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত।