মাধ্যমিকে জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষায় ১১ নম্বর কম দেওয়া হয়েছে, এই দাবি করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করে এক পড়ুয়া। তার অভিযোগ, খাতায় নম্বর দিতে গিয়ে একাধিক জায়গায় পরীক্ষক কাটাকুটি করেছেন। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য ওই খাতায় নম্বর দেওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘‘সাধারণ চোখে দেখা যাচ্ছে নম্বর ঠিক দেওয়া হয়নি। চার নম্বর দেওয়া হয়নি, এখনই চোখে পড়ছে।’’ মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে তাঁর নির্দেশ, ওই পরীক্ষার্থীর খাতা অন্য কোনও পরীক্ষককে নিয়ে মূল্যায়ন করাতে হবে। হাই কোর্টের আরও নির্দেশ, জীবনবিজ্ঞানের প্রধান পরীক্ষককে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আবেদনকারী পড়ুয়ার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। তার হয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির ছিলেন আইনজীবী সুনীতকুমার রায়। নন্দীগ্রামেরই একটি স্কুল থেকে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় ওই পরীক্ষার্থী। ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, অন্য বিষয়ের তুলনায় জীবনবিজ্ঞানের প্রাপ্ত নম্বর কম। বাংলায় ৯৭, ইংরেজিতে ৯৯, অঙ্কে ৯৯, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৫, ইতিহাসে ৯৫ এবং ভূগোলে ৯৯ পেলেও জীবনবিজ্ঞানে তার প্রাপ্ত নম্বর ৮২। পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নের জন্য ফলপ্রকাশের এক মাসের মধ্যে আবেদন জানাতে হয়। কিন্তু ওই পরীক্ষার্থী শারীরিক অসুস্থতার কারণে তা করতে পারেনি। পর্ষদ নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর আবেদন জানায় সে। কিন্তু তা গ্রাহ্য হয়নি। এই অবস্থায় জীবনবিজ্ঞানে কম নম্বর পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় নন্দীগ্রামের ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
হাই কোর্ট আগেই নির্দেশ দেয়, ওই পরীক্ষার্থীর জীবনবিজ্ঞানের খাতা দেখাতে হবে। সেই মতো আদালতে জমা পড়েছিল খাতা। বৃহস্পতিবার সেই খাতা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। পাশাপাশি এ বিষয়ে পর্ষদকে একটি হলফনামাও জমা দিতে বলা হয়েছে। এক মাস পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।