আরজি কর-কাণ্ডের আবহে গত ৪ অক্টোবর জয়নগরে কোচিং থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় ন’বছরের এক ছাত্রী। ওই রাতে তার দেহ উদ্ধার হয়। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত যুবককে। ৫ অক্টোবর বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হয় অভিযুক্তকে। ৭ অক্টোবর এই ঘটনায় সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করা হয়। ৩০ অক্টোবর ২৫ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা করা হয় বারুইপুর আদালতে। ৫ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে বারুইপুর পকসো আদালত। নির্যাতিতার বাবা দোষীর ফাঁসির দাবি করেছেন। জানিয়েছেন, পুলিশের উপর তাঁদের ভরসা ছিল। আগামী দিনেও থাকবে।
মৃত ছাত্রীর পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল জয়নগর থানায়। অভিযোগ, প্রথমে মহিষমারিতে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল পরিবার। সেখানে অভিযোগ গ্রহণ না-করে তাদের জয়নগর থানায় যেতে বলা হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখলে শিশুটিকে হয়তো বাঁচানো যেত। রাতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক সাইকেলে করে শিশুটিকে নিয়ে যাচ্ছে। তার পরেই তাকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করা হয়। এ বার তাকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।
সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এক মাসের মধ্যে শুনানি শেষ করতে পেরে আমি খুশি। এই মামলার রায় সমাজে দৃষ্টান্ত তৈরি করবে বলে আমার বিশ্বাস।”