ঘটনাটি ২০০১ সালের ১৭ জুনের। বীরশিবপুর স্টেশন থেকে রামরাজাতলা যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। সেই সময়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান তিনি। আহত অবস্থায় তাঁকে হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই দিনই মৃত্যু হয় তাঁর। পরে রেলের থেকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মৃতের স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ট্রেনে অত্যাধিক ভিড় এবং রেলের ঝাঁকুনির কারণে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান স্বামী। মামলাকারীর বক্তব্য, তাঁর স্বামী ট্রেন যাত্রার সময়ে মারা গিয়েছেন। তাই রেল দুর্ঘটনার মতো এ ক্ষেত্রেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
মহিলার দাবি, তাঁর তিন সন্তান। স্বামীর মৃত্যুকালে বয়স ছিল ৭০ বছর। তিনি সেই সময়ে মাসে সাড়ে তিন হাজার টাকা রোজগার করতেন। ফলে সেই হারে ক্ষতিপূরণের আর্জি জানান তিনি।
প্রথম রেলওয়ে ক্লেমস ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন মৃতের স্ত্রী। সেখানে রেল জানায়, ওই ঘটনার সঙ্গে রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ একই ভাবে বিচার করা যায় না। তা ছাড়া চলন্ত ট্রেন থেকে নির্দিষ্ট ভাবে কোথায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।