সংবাদদাতা,মেদিনীপুর: খড়্গপুর আইআইটির অধ্যাপকদের আন্দোলন প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তাই, এবার কঠোর অবস্থান নিচ্ছে কৃর্তৃপক্ষ। আগেই আন্দোলনরত অধ্যাপকদের শোকজ করা হয়েছিল। তার জবাব চাওয়া হয়েছিল ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে। সেই সময়সীমা ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে আন্দোলনকারী তিন অধ্যাপককে বিভাগীয় প্রধানের পদ সরিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ। এদিকে, বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি দিয়ে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ৮০০ জন অধ্যপকের মধ্যে যে ৮৫ জন সিদ্ধান্তে সই করেছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগই না বুঝে সই করেন। তাঁরা আন্দোলনের জায়গা থেকে সরে এসেছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে অভিযোগের তথ্য-প্রমাণ সহ। কর্তৃপক্ষ মনে করে, অধ্যাপকদের এই ভূমিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করছে। প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর এ ধরণের কাজ না করার পরামর্শ দিয়েছেন। শোকজের উত্তর দেওয়ার সময়সীমা বাড়ালেও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, যে অধ্যাপকরা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্তে সই করেছেন তাঁদের মধ্যে তিনজনকে বিভাগীয় প্রধান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এই বিবৃতি নিয়ে সংগঠনের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে জানা গিয়েছে, তাঁরা সদস্যদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছে এই প্রতিবাদ আন্দোলন চলবে। অভিযোগ, আন্দোলনকে দুর্বল করার জন্য কর্তৃপক্ষ নানা পথ অবলম্বন করছে। সেখানে সদস্যদের মাথানত না করে পাশে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আইআইটি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে টিচার্স এ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিল। তারপরই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সহ পাঁচজন পদাধিকারীকে শোকজ করে কর্তৃপক্ষ। তার প্রতিবাদে অ্যাসোসিয়েশন জরুরি সভা ডেকে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয়। তাতে ৮৬ জন অধ্যাপক সই করেন। অবিলম্বে শোকজ প্রত্যাহার না করলে আমরণ অনশনেরও হুমকি দেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্তের চিঠি হতে পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ ৮৬ জন অধ্যাপককেই শোকজ নোটিশ ধরায়। এর প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন আইআইটি ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করে। এরপরই কর্তৃপক্ষ তাদের কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দেয়।