• আন্দোলন, পাল্টা আন্দোলনের জেরে অচলাবস্থা জারি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে
    বর্তমান | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: আন্দোলন, পাল্টা আন্দোলনে বৃহস্পতিবারও ডামাডোল পরিস্থিতি অব্যাহত রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এদিন একদল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ নিয়ে রায়গঞ্জ পুলিস সুপারের দ্বারস্থ হন। মিছিল করে তাঁরা কর্ণজোড়ায় ডিএম অফিস চত্বর হয়ে পুলিস সুপারের অফিস পর্যন্ত যান। বিক্ষোভ, প্রতিবাদ জানান। আরেক পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এতেই দিনভর ব্যতিব্যস্ত অবস্থা ক্যাম্পাসে।


    তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘিরে দু’পক্ষের আন্দোলনে বিজেপিপন্থী রাজবংশী সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ প্রদর্শনকে ভালো নজরে দেখছেন না তৃণমূলপন্থী রাজবংশী মানুষজন। 


    এ নিয়েও শুরু হয়েছে তর্জা। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্য দীপক কুমার রায় বলেন, রাজ্যপাল ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানিয়েছি। সেখানকার নির্দেশিকার অপেক্ষায় রয়েছি। আন্দোলন সকলের অধিকার। কিন্তু গত ১১ নভেম্বর থেকে যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা, কাজকর্মকে আন্দোলনের নামে বিঘ্নিত করা হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। সবক্ষেত্রেই দু’পক্ষ থাকে। এখানেও সেটাই হচ্ছে।


    এদিকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির জেলা সভাপতি তপন নাগের মন্তব্য, উপাচার্য সহজ সরল রাজবংশী ভাইবোনদের ভুল বুঝিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ময়দানে নামিয়েছেন। তিনি একসময় পাঁচ রাজবংশী নিরাপত্তা কর্মীকে তৃণমূল করার অভিযোগে কাজ থেকে বের করে দিয়েছেন। এখন রাজবংশী সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলা করছেন। তবে ওঁরা বিজেপিপন্থী।


    এদিন শিক্ষাবন্ধু সমিতির হয়েও একদল রাজবংশী সমাজের মানুষজন উপাচার্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম  কৈলাস বর্মন বলেন, যেভাবে রাজবংশী সম্প্রদায়কে জড়িয়ে আন্দোলন হচ্ছে, তাতে আমরা চিন্তিত। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগকে সামনে রেখে আন্দোলন চলছে। সেটাকে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে দেখা অনুচিত বলে মনে করি। তাই এদিন উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আমরাও যোগ দিয়েছিলাম। উপাচার্যকে হেনস্তার অভিযোগ করে পুলিস সুপারের দপ্তরে যাওয়া আন্দোলনকারীদের মধ্যে নারদ বর্মণ বলেন, আমরা রাজবংশী ভাষা শিক্ষা সমিতি ও রাজবংশী সমাজের তরফে পুলিসকে দাবি জানিয়েছি। উপাচার্যকে হেনস্তাকারীদের শাস্তি চাই। তৃণমূলপন্থী সংগঠনকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখানো বন্ধ করতে হবে। - ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)