রামকৃষ্ণের নামে বিশ্ববিদ্যালয় হতে চলেছে রাজ্যে, খুশির হাওয়া মিশনে
বর্তমান | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: রামকৃষ্ণ পরমহংস বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার বারাকপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনে রীতিমতো খুশির চেহারা। এদিন পড়ুয়াদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। বারাকপুর রামকৃষ্ণ মিশনে বিশেষ পুজো, চণ্ডীপাঠ হয়। ঠিক হয়েছে, বিধানসভায় যে দিন ওই বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস হবে, সেদিন সর্বত্র পুজো করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রামকৃষ্ণের নামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় খুশি প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়া, ভক্ত এবং অভিভাবকরা। এই প্রথম ঠাকুর রামকৃষ্ণের নামে বিশ্ববিদ্যালয় হতে চলেছে রাজ্যে।
বারাকপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের সম্পাদক স্বামী নিত্যরূপানন্দজি বলেন, ১৯৯৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি স্বপ্ন দেখেছিলেন এই মিশনের তৎকালীন সম্পাদক স্বামী নিত্যানন্দজি মহারাজ। সমস্যা ছিল যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ক্ষেত্রে তখন সরকারের নিয়ম-নীতি সেভাবে তৈরি ছিল না। ২০১৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে রাজ্য সরকার নতুন আইন করে। তখন ফের রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো শুরু হয়। অবশেষে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের নামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ঠাকুরের সাধন ক্ষেত্র দক্ষিণেশ্বর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে, আগরপাড়ায় বি টি রোডের উপরে ৩০ বিঘা জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি গড়ে উঠবে। এক ছাদের তলায় ১৫ হাজার ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারবে। আমাদের মিশনে দুঃস্থ অনাথ ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো হয়। তারাও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবে।
তিনি আরও জানান, আগরপাড়ায় ইতিমধ্যে একটি স্কুল চলছে। উন্নতমানের একটি অডিটোরিয়ামও রয়েছে, যার উদ্বোধন করেছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। বর্তমানে আমাদের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ মিলিয়ে কুড়ি হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। উচ্চশিক্ষার জন্য তাদের আর অন্য কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে না।