• সভাপতি পদে পুনর্বহাল আরাবুল, গাড়িতে পাইপ আর কোদালের বাঁট ঘিরে ফের বিতর্ক
    বর্তমান | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সোমবারের পর বৃহস্পতিবার আবারও ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে এলেন আরাবুল ইসলাম। তবে বিতর্ক পিছু ছাড়ল না তাঁর। কারণ বিডিও অফিসে ঢোকার পর আরাবুলের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিস উদ্ধার করেছে প্লাস্টিক পাইপ এবং কোদালের বাঁট। যা নিয়ে আসরে নেমে পড়েছে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী। 


    এদিকে, বারুইপুর মহকুমা শাসকের নির্দেশে বৃহস্পতিবার থেকেই ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে পুনর্বহাল হলেন আরাবুল ইসলাম। উল্লেখ্য, তিনি জেলে যাওয়ার পর, সভাপতির পদ সামলাচ্ছিলেন সহকারী সভাপতি। গাড়ি নিয়ে বিডিও অফিস চত্বরে ঢোকার আগে পুলিসের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় আরাবুলের। কারণ তাঁকে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরই প্রশ্ন ওঠে গাড়িতে রাখা সামগ্রী নিয়ে। তাঁর গাড়িতে এগুলি কেন রাখা ছিল, তা নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছে আরাবুলের বিরোধী গোষ্ঠী। যদিও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ ‘তাজা’ নেতা। আরাবুল বলেন, ঝান্ডা বাঁধার জন্য প্লাস্টিকের পাইপগুলি কাজে লাগানো হতো। সেটাই রাখা ছিল। তবে কোদালের বাঁট নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।


    এদিন, পৌনে ১১টা নাগাদ পঞ্চায়েত সমিতির দপ্তরে প্রবেশ করে নিজের বরাদ্দ নতুন ঘরে না গিয়ে বিডিওর ঘরেই বসেন এবং দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত সেখানে বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ে কথাবার্তা বলেন। তারপর তিনি বেরিয়ে যান।


    তবে আরাবুল আসার অনেক আগে থেকেই পঞ্চায়েত সমিতিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁর বিরোধী নেতা বলে পরিচিত খাইরুল ইসলাম ও অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষরা। তাঁরা ওই নেতার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। আরাবুলের গাড়ি থেকে পাওয়া কোদালের বাঁট এবং প্লাস্টিকের পাইপ পাওয়া নিয়ে খাইরুল বলেন, আরাবুল অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলেই এসব নিয়ে ঘুরছে।


    অন্যদিকে, আরাবুলের পঞ্চায়েত সমিতি থেকে খানিকটা দূরে জাগুলগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতে এদিন কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লা। এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। যখনতখন বড় কিছু ঘটে যেতে পারে ধরে নিয়ে পুলিসি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন ছিল পুলিস। যদিও অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। 
  • Link to this news (বর্তমান)