• আর্বজনার স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ ভ্যাট সংস্কারে হাত দিল হাওড়া পুরসভা
    বর্তমান | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: বছরের পর বছর সংস্কার হয়নি। ফলে শহরের প্রায় শ’খানেক ভ্যাটের অবস্থা একদম বেহাল। কোনও জায়গায় আবর্জনার স্তূপে হারিয়ে গিয়েছে ভ্যাটের সীমানা। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দুর্গন্ধের চোটে প্রাণ ওষ্ঠাগত। আবর্জনাময় ছবি দেখতে দেখতে গা সওয়া হয়ে গিয়েছে শহরবাসীর। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প পুরোপুরি চালু হয়নি এখনও। তাই প্রাথমিকভাবে বেহাল অবস্থায় থাকা খোলা ভ্যাটের হাল ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে হাওড়া পুরসভা। সংস্কারের পাশাপাশি দৃশ্যদূষণ ঠেকাতে ভ্যাটগুলি ঘিরে দেওয়া হচ্ছে টাইলস দেওয়া কংক্রিটের দেওয়ালে।


    হাওড়া শহরের এক তৃতীয়াংশ ওয়ার্ডে এখনও চালু হয়নি সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প। ফলে ৫০টি ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকার আবর্জনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে এখনও ভ্যাট নির্ভর হাওড়া পুরসভা। জানা গিয়েছে, আগে শহরজুড়ে ২৮৪ রেজিস্টার্ড ভ্যাট ছিল। ১১ ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু হওয়ায় ভ্যাটের সংখ্যা কমে বর্তমানে হয়েছে ২১৮। কিন্তু এগুলির মধ্যে শতাধিক ভ্যাটের অবস্থাই বেহাল। কোনও ওয়ার্ডে নিকাশি নালা মিশে গিয়েছে ভ্যাটের সঙ্গে। আবার কোথাও এককালে ভ্যাটের অস্তিত্ব থাকলেও বর্তমানে শুধুই আবর্জনার স্তূপ দেখেই জায়গাটুকু চিহ্নিত করা যায়। তাই গোটা পুরসভা এলাকা সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প নির্ভর না হয়ে ওঠা পর্যন্ত বেহাল ভ্যাটগুলোর সংস্কারের কাজ শুরু করেছে হাওড়া পুরসভা। ইতিমধ্যেই ৫০টি খোলা ভ্যাট নতুন করে দেওয়াল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। লাগানো হয়েছে লোহার গেট। এমনকী বাইরে থেকে যাতে ভ্যাট বলে না বোঝা যায়, সেজন্য দেওয়ালে বসানো হয়েছে টাইলস। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে আরও শতাধিক ভ্যাটে মেরামতির কাজ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘শহরের সমস্ত ভ্যাট একসঙ্গে তুলে দেওয়া সম্ভব নয়। আবর্জনার সমস্যা মেটাতে ধাপে ধাপে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তাই আপাতত যাতে ভ্যাট থেকে আবর্জনা রাস্তায় গড়িয়ে না আসে, সে জন্য বেহাল ভ্যাট সংস্কার করা হচ্ছে।’ উত্তর হাওড়ার ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু হয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি সেখানে দু’টি ভ্যাট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। উত্তর হাওড়ার বিধায়ক ও হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত গৌতম চৌধুরী বলেন, ‘যেখানে এসডব্লুএম চালু রয়েছে, সেখানকার বাসিন্দাদের ভ্যাটের প্রয়োজন নেই। বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ হচ্ছে। ধীরে ধীরে ভ্যাটের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হলে সাধারণ মানুষের অভ্যাসেও বদল আনতে হবে।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)