• স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলে চরম সিদ্ধান্ত শিক্ষিকার
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • স্কুলে বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছিলেন। তার পর থেকেই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরাগভাজন হন। দিনের পর দিন হেনস্থা আর সহ্য করতে না পেরে অবশেষে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন কলকাতার এক স্কুল শিক্ষিকা। ভিডিও বার্তায় স্কুলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন ওই শিক্ষিকা। বাড়ি থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বরানগর মাতৃমন্দির লেন অঞ্চলে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিক্ষিকার নাম জসবীর কৌর। তাঁর বয়স ৫৮ বছর। ডানলপ ব্রিজ সংলগ্ন খালসা মডেল সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের কিন্ডারগার্ডেন সেকশনের শিক্ষিকা ছিলেন জসবীর। দক্ষিণেশ্বর থানার অন্তর্গত বরানগর মাতৃমন্দির লেন এলাকা বাসিন্দা ছিলেন তিনি। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি স্কুলে চাকরি করতে শুরু করেছিলেন। গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কর্মরত ছিলেন খালসা মডেল সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে।

    প্রথমটা ঠিকঠাক চললেও গোলমাল বাঁধে বছর পাঁচেক আগে। স্কুলের নতুন ম্যানেজমেন্ট-সহ প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন জসবীর কৌর। এনিয়ে একাধিকবার সরবও হন তিনি। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়। তাঁর অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় তাঁকে হেনস্তা করে কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছিল।

    বৃহস্পতিবার আত্মহত্যার আগে তিনি জসবীর কৌর ভিডিও বার্তা দেন। ওই ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ন্যায়বিচার চেয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। এই ভিডিও যাচাই করে দেখছে পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে পুলিশ।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)